উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি ৪৭১১ভোটের লিড পেলেও ভীমকাঁটা ২৮ নম্বর বুথে তৃণমূল ৯১ ভোটে এগিয়ে। নিজেদের বুথে তৃণমূল এগিয়ে থাকায় ওই বুথে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল। সেই মিছিলে বুথ সভাপতি জয়দেব মণ্ডল, দলীয় কর্মী প্রভাস মণ্ডল সহ আরও অনেকে অংশ নেন। প্রভাস তাঁর সম্পর্কে কাকা-কাকিমাকে আবির মাখানো নিয়ে গণ্ডগোল বাধে। রাজনৈতিক পরিচিতিকে গুরুত্ব না দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মী তাঁদের কপালে সবুজ আবির মাখিয়ে দেন। এই ঘটনার পর গেরুয়া রোষে পড়েন প্রভাস মণ্ডল।
এক সপ্তাহ আগে গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে প্রভাস মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা ফাইন হয়। ওই সভায় গ্রাম কমিটির সম্পাদক শঙ্করপ্রসাদ মণ্ডল, সভাপতি বিকাশচন্দ্র মণ্ডল সহ বিজেপির অনেক মাতব্বর ছিলেন। সভায় তৃণমূল কর্মীরা কেউ যাননি বলে বুথ সভাপতি জয়দেব মণ্ডল জানান। ওই সভায় একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার পর ৫০হাজার টাকা ফাইন করা হয়েছে। প্রভাস বলেন, ৫০হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই। আমি গ্রাম কমিটিকে সেটি জানিয়েছি। ওরা চাষ বয়কট করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। গোটা বিষয়টি দলের নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। বুথে আমরা এগিয়ে থাকায় বিজয় মিছিল বের করা হয়েছিল। সেই মিছিল থেকে আবির দেওয়া নিয়ে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেও পারিনি।
গ্রাম কমিটির সভাপতি বিকাশচন্দ্র মণ্ডল ও সম্পাদক শঙ্করপ্রসাদ মণ্ডল দু’জনেই কট্টর বিজেপি কর্মী। তাঁদের উপস্থিতিতে সালিশি সভা হয়। সেই সভায় মারধর করার ঘটনা ঘটে। গ্রাম কমিটির ওই দুই মাতব্বরকে বারবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। এনিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ভীমকাঁটায় আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। যেকারণে এবার আধা সেনার নিরাপত্তায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এরকম একটি জায়গায় আমাদের পক্ষে সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে মারধর এবং জরিমানা করার ক্ষমতা নেই। এটা তৃণমূলের সাজানো গল্প।
তৃণমূল কংগ্রেসের ভেকুটিয়া অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন দাস বলেন, বিজেপি কর্মীরাই গ্রাম কমিটির মোড়ল। তারা সালিশি বসিয়ে আমাদের পার্টি কর্মী প্রভাস মণ্ডলকে মারধর করে জরিমানা ধার্য করেছে। আমরা ওই কর্মীর পাশে রয়েছি। কোনওরকম টাকা দিতে হবে না বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছি।