পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এদিন মৃত বধূর স্বামী শেখ হাসমত শেখের হাতেই ক্ষতিপূরণের টাকা ও চেক তুলে দেওয়া হয়। হাসমত বলেন, মানুষটাই চলে গেল। রেলের পক্ষ থেকে সেদিন আমাদের কোনও সাহায্য করা হয়নি। কীভাবে জলপাইগুড়ি থেকে মৃতদেহ আনতে হয়েছে আমিই জানি। উল্লেখ্য, স্ত্রীকে চারচাকা গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন হাসমত সাহেব। শোরুমে গিয়ে স্ত্রী বিউটিই গাড়িটি পছন্দ করেছিলেন। ওই গাড়ি নিয়ে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রী ঘুরতে যেতেন। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গ থেকে স্ত্রীর মৃতদেহ ওই গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয়। স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে গুসকরা পর্যন্ত নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসেন হাসমত সাহেব। এদিন তিনি বলেন, গাড়িটা দেখলেই স্ত্রীর কথা বড্ড মনে পড়ছে। তিস্তা নদীর ধারে গাড়ি করে স্ত্রীকে চপিয়ে নিয়ে যেতাম। সেখানে দু’জনে ঘুরে বেড়াতাম। এসব কথা এখন স্মৃতি হয়ে গেল। সেদিন ভোরবেলায় আমার জন্য অনেক রান্না করেছিল। পরবের পরেরদিন গুসকরা যেতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার কথা শুনল না। সব শেষ হয়ে গেল।