পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির নিশানায় ছিলেন ২০১৪ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। দিলীপ ঘোষ থেকে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব প্রায়ই আক্রমণ শানাতেন তাঁকে। এমনকী, ভোটের প্রচার শুরুর পর থেকেই ধৃতিমান সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কুমন্তব্য করে যেতে থাকেন অগ্নিমিত্রা পল। এরপর গত ২০ মে হঠাৎ করেই তাঁকে সরিয়ে দেয় কমিশন। নির্বাচনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবে না, এমন পদে ধৃতিমানবাবুকে বদলি করার নির্দেশ দেয় কমিশন। তাঁর জায়গায় ২০১৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সোনওয়ানে কুলদীপ সুরেশকে জেলার পুলিস সুপার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। শাসক দলের দাবি, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই এই কাজ করেছে কমিশন।
তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে গত ১৯মে খড়্গপুরের একটি হোটেলে অগ্নিমিত্রা ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাকে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা সহ হাতেনাতে ধরে পুলিস। এই টাকা দিয়েই ভোটারদের প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তা ধরে ফেলার ‘শাস্তি’ হিসেবে পরের দিনই পুলিস সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘যে জেলায় বিজেপি নেতাকে হিসেব-বহির্ভূত নগদের সঙ্গে ধরেছে পুলিস, সেই জেলারই এসপিকে সরিয়ে দিল কমিশন। এটাই মোদির গ্যারান্টি।’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ভোটের আগে জেলায় বিজেপির টাকা দিয়ে ভোট কেনার চক্রান্তকে বানচাল করে দেওয়ার জন্যই এসপিকে সরানো হয়েছিল। তিনি ফের মাথা উঁচু করে ফিরলেন।