পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
শিল্প বিশেষজ্ঞরা পেট্রকেমের সঙ্গে কাতারের এই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিকে রাজ্যের শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাড়তি দিচ্ছেন। এই চুক্তি হলদিয়াকে ঘিরে শিল্পের নতুন অভিমুখ তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যে শিল্পপতিদের নতুন বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছেন, সেই সময় পেট্রকেমের এধরনের চুক্তি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন তাঁরা।
কারণ, পেট্রকেমে নতুন বিনিয়োগ হওয়ার কারণেই স্থায়ী কাঁচামালের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই উদ্যোগ। ন্যাপথার দাম এবং স্বাভাবিক সরবরাহের উপরই পেট্রকেমের স্থিতিশীল উৎপাদন ও বাণিজ্য নির্ভর করে। পেট্রকেমের উৎপাদন স্থিতিশীল হলে রাজ্যে পেট্ররাসায়নিক শিল্পের বিকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি পেট্রকেমের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বাড়লে হলদিয়া বন্দরের সুবিধে হবে, মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এইচপিএলকে ঘিরে পূর্ব ভারতে ১৩০০-র বেশি ইউনিট তৈরি হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। এবার ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ভারতের বৃহত্তম এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফেনল প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে হলদিয়া। দেশে নির্মাণ শিল্প, ওষুধ শিল্প, গাড়ি শিল্পের এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত রাসায়নিক পণ্যগুলির দারুণ চাহিদা রয়েছে। জোরকদমে এর নির্মাণকাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে নির্মাণ কাজে একসঙ্গে দু’হাজারের বেশি যুবকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা রাখা হয়েছে।