সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
যেহেতু এদিনের বৈঠকে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সভাধিপতি সকলেই উপস্থিত ছিলেন, তাই ১০০ দিনের কাজের উপর বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। বৈঠক উপস্থিত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সকলকে জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই কাজের উপর জোর দিতে বলেছেন। তাই শুক্রবার থেকেই সবাইকে মাঠে নেমে পড়তে হবে। যে বা যাঁরা কাজ করতে চাইবেন তাঁদের সবাইকেই কাজ করার সুযোগ দেবেন। কোনও দল দেখবেন না। যাঁর জবকার্ড নেই, দ্রুত তাঁর কার্ড করে দিতে হবে। যাঁর নবীকরণ হয়নি, তাঁরও কার্ডও দ্রুত নবীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এদিন মন্ত্রী সকলকে সতর্ক করেছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। ফাঁকা মাস্টাররোল পঞ্চায়েত সদস্য বা সুপারভাইজারদের হাতে দেওয়া যাবে না। জবকার্ডধারীদের কাছেই নিজের জবকার্ড থাকবে। অন্য কারও কাছে থাকবে না। এটা সবাই মাথায় রাখবেন। আমরা কাউকে না জানিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটও করব।
অন্যদিকে, জেলার রাস্তাঘাট সংস্কার করা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। কারণ, লকডাউনের সময় বহু রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া, যে রাস্তাগুলির কাজ চলছিল, সেগুলিও থেমে গিয়েছিল। জেলার একাধিক জায়গায় আবর্জনা গজিয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বহু জায়গায় পার্থেনিয়াম গাছও হয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে কেটে ফেলার জন্য আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, লকডাউন পর্বে যে নিকাশি নালাগুলি মজে গিয়েছে, ঠিকমতো সংস্কার হয়নি, সেগুলিও দ্রুত সংস্কার করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের স্বনির্ভর এবং আর্থিক উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে হাঁস, মুরগি ও ছাগলের ছানা বিলি করা হয়। এবার সেই বিলি বন্টনের উপরেও জোর দিতে বলা হয়েছে। যাতে প্রাণিপালকের সংখ্যা বাড়ে। দপ্তরের মন্ত্রী এই বিষয়টি সকলকে দেখতে বলেছেন। এবং জেলার প্রাণিসম্পদ ও বিকাশ দপ্তরকেও বিষয়টির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলাতেই কর্মসংস্থান দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। কোথাও হাব তৈরি করা যায় কি না, তা জেলা শিল্পদপ্তরকে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কেউ যদি নিজেই সোনা-রূপো সহ অন্যান্য কাজ করতে চান, তাহলে তাঁকে কীভাবে সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করা হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই বৈঠক করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে বর্ধমান জেলা যাতে আবার দেশের প্রথম হয়, আমরা সকলে মিলে সেই চেষ্টা করছি। প্রতিটি পঞ্চায়েতকে এই কাজ সহ প্রতিটি প্রকল্পে গতি আনতে বলা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও আমরা এই জেলায় ১০০ দিনের কাজে অগ্রাধিকার দেব।