পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, আমরা এখনই এসব নিয়ে ভাবছি না। কীভাবে বাংলোটি পুড়ে গেল, এখন আমরা সেটাই খতিয়ে দেখছি। অন্যান্য ফরেস্ট হাউসও সুরক্ষিত করার চেষ্টা চলছে। শর্ট সার্কিটের জেরেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কর্মীদের কারও গাফিলতি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, হলং বাংলো নিয়ে পর্যটন মহলের আবেগের স্রোত চলছেই। বৃহস্পতিবারও অনেকে পুড়ে যাওয়া বাংলো দেখতে মাদারিহাটে এসেছিলেন। কিন্তু জঙ্গল বন্ধ থাকায় বনদপ্তর এদিনও কাউকে হলংয়ে ঢুকতে দেয়নি। এদিন আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে জয়ী প্রার্থী বিজেপির মনোজ টিগ্গাও বাংলোটি দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বনদপ্তর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথে তাঁর গাড়ি আটকে দেয়। পরে এনিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মনোজ টিগ্গা বলেন, আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি। এত বড় ঘটনার পরও কেন আমাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। যদিও এনিয়ে বনদপ্তরের বক্তব্য, ১৬ জুন থেকে তিনমাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেজন্য জঙ্গলে কারও ঢোকা একেবারে নিষেধ।
ডুয়ার্সের পর্যটন মহল অবশ্য হলং বাংলোকে নতুন করে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হয়েছে। এই দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও লেখালেখি চলছে। কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব? কারণ, বনদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, হলং বনবাংলোর পুনর্নির্মাণ ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে আটকে যেতে পারে। ১৯৬৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই বাংলো। তখন বন্যপ্রাণী আইন লাগু হয়নি। তার পাঁচ বছর পর লাগু হয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২। তখন বলা হয় সংরক্ষিত জঙ্গলের মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লাগু হওয়ার আগে থেকে যে বাংলোগুলি আছে তা থেকে যাবে। কিন্তু নতুন করে সংরক্ষিত জঙ্গলে কোনও বাণিজ্যিক বাংলো বা লজ তৈরি করা যাবে না।
রাজ্য বনদপ্তরের এক প্রাক্তন শীর্ষকর্তা বলেন, একারণে সুন্দরবনের সজনেখালিতে পর্যটন দপ্তরের একটি নির্মীয়মাণ বাংলোর কাজ মাঝপথে আটকে গিয়েছে। অর্ধেক কাজ হওয়া কংক্রিটের সেই কাঠামো এখনও রয়ে গিয়েছে। একমাত্র ন্যাশনাল বোর্ড অব ওয়াইল্ড লাইফ ছাড়পত্র দিলেই হলং বনবাংলোর পুনর্নির্মাণ সম্ভব। যে বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবমিলিয়ে হলং বাংলো আগের চেহারায় ফিরবে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।