কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা দাবি করেছে, ধৃত যুবকের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। ধৃত তৃণমূলেরই কর্মী। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিস সূত্রে গিয়েছে, গাঁজা পাচার হচ্ছে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে দিনহাটা-২ ব্লকের সাহেবগঞ্জ থানার অন্তর্গত নয়ারহাট থেকে নটকোবাড়ি যাওয়ার রাজ্য সড়কে ডাকুরহাট স্কুলের কাছে পুলিস নাকা চেকিং শুরু করে। রাত ৯টা নাগাদ মোটর বাইকে করে সন্দেহজনকভাবে এক যুবক যাওয়ার সময়ে তাকে পুলিস আটক করে। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে সাড়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। পরে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি ওই ব্লকেরই গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দিনা গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, গাঁজার প্যাকেট পাচারের জন্য সে নিয়ে যাচ্ছিল। সোমবার দুপুরে ফেসবুকে ধৃত ওই গাঁজা পাচারকারী যুবক বিজেপির কার্যকতরা বলে উদয়ন গুহ পোস্ট করেন। দিনহাটার বাসিন্দা, বিজেপির জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, আমাদের দলে কোনও গাঁজা বা গোরু পাচারকারী নেই। তৃণমূল পাচারকারীদের পোষে। ধৃত ওদেরই দলের লোক। ওই যুবক আমাদের দলের কেউ না। পাচারকারী ধরা পড়ায় বিজেপির কর্মী বা নেতা বলে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন বিধায়ক। আসলে বিধায়ক তো নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ওঁর দলের মধ্যেই কোণঠাসা। আসন্ন বিধানসভা ভোটে উনি টিকিট পাবেন কি না তার ঠিক নেই। সেজন্য তার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই উল্টোপাল্টা বলছেন। বিধায়ক বলেন, আমার কাছে খবর আছে ধৃত বিজেপি নেতা। এখন ওরা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে অভিযুক্ত ওদের দলের নয় বলে দাবি করবে এটাই স্বাভাবিক। এদিকে, ভোটের মুখে এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাহেবগঞ্জ থানার ওসি সৌমাল্য আইচ বলেন, একজনকে সাড়ে ২২ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, দিনহাটা মহকুমাজুড়ে প্রতিবছর বিঘার পর বিঘা গাঁজা চাষ হয়। মাঝেমধ্যে পুলিস অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছ কেটে আগুনে পুড়িয়েও দেয়। যদিও তা তুলনার চেয়ে অনেক কম বলে অভিযোগ। ফাইল চিত্র