কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
রাজ্যজুড়েই বিধানসভা ভোটের হাওয়া এখন গরম। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও সর্বশক্তি দিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে সব দলই। সেইসঙ্গে চলছে সংগঠন গোছানোর কাজও। উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও একই চিত্র। তৃণমূল, বিজেপি, বামেরা বা কংগ্রেস আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে। একসময়ে এই জেলা কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য দুর্গ ছিল। সৌজন্যে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। এখন সেই জেলাতেই কাজ করতে গিয়ে কংগ্রেসের সমস্যা হচ্ছে। নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের সেভাবে উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছে না, বলছে দলেরই একটা অংশ।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের এই অনুপস্থিতি একদিকে যেমন নানা জল্পনাকে উস্কে দিয়ে দিচ্ছে, তেমনই হতাশায় ভুগছেন দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়-পত্নীর উপস্থিতিই একমাত্র পারে তাঁদের চাঙ্গা করতে।
কংগ্রেস কর্মীরাই বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের সকলের প্রিয় দীপা বউদি রায়গঞ্জ থেকে সেই যে চলে গিয়েছেন, তার পর আর তাঁকে সেভাবে জেলায় দেখাই যায়নি। ফলে একসময় দীপাদেবীর এই রাজনৈতিক কর্মভূমিতে ধীরে ধীরে কংগ্রেসের মুঠি আলগা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ও বিজেপি ক্রমেই নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজের নিজের জমি শক্ত করে তুলেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে একদা কংগ্রেসের এই ঘাঁটিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দীপাদেবী এসে আবার দলের কাজ শুরু করুন, চাইছেন নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা।
উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে দীপা দাশমুন্সি রাজনীতিতে তেমন একটা সময় দিতে পারছেন না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি আমাদের থেকে দূরে চলে গিয়েছেন। নির্বাচনের আগে বউদি অবশ্যই আসবেন এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেও নামবেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ বলেন, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নীতি-আদর্শে আমরা বিশ্বাস করি। তাঁকে সামনে রেখেই আমরা এবারও প্রচারে নামব। প্রিয়দার পর দীপা বউদি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। তিনি সাংসদ থাকাকালীনও রায়গঞ্জে প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পরবর্তী সময়ে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তেমন উন্নয়নের কাজ হয়নি। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আমরা দলগতভাবে নানা পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করি, বউদিও আসবেন। তিনি ফের দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করবেন। আমাদের দলের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁর মাধ্যমেই সবসময় রায়গঞ্জের খোঁজখবর নেন দীপা বউদি।
রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুরের জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, দীপা দাশমুন্সি ব্যক্তিগত কারণেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে একটু দূরে রয়েছেন। করোনার দাপট তো রয়েছেই। পাশাপাশি তাঁদের একমাত্র সন্তান প্রিয়দীপ ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করে। সেসব কারণেই তিনি নানা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাই বিগত কিছুদিন তাঁকে আমরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাশে পাইনি। কিন্তু তিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের আসবেন এবং নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এনিয়ে কর্মীদের দুশ্চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।