শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শ্রমিকরা বাইরে থেকে এলেও তাঁদের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তার আগেই প্রত্যেকে বাড়ি গিয়ে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। প্রশাসনিক গাফিলতির ফলেই শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে রাখা যায়নি। এধরণের ঘটনা ঘটলে সংক্রমণ ছড়াবার আশঙ্কা থাকবে। যদিও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বক্তব্য, কোয়ারেন্টাইনে চূড়ান্ত অব্যাবস্থা চলছে। যে কারণে তাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, শোওয়ার ও থাকার প্রচন্ড অসুবিধা। সময় মতো খাবার দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকার যেখানে বলেই দিয়েছে যে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেই হবে, সেখানে আমাদের এভাবে জোর করে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না।
এবিষয়ে যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের নুর হক বলেন, শ্রমিকদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয় নেই। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকবে না বলে বেশ কয়েকজন সেন্টার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে রাতেই তাঁদের আবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মাদ্রাসার সেন্টারে কোনও অব্যবস্থা নেই। সব ঠিকঠাক রয়েছে। আমরা সমস্থ সুবিধা তাঁদের প্রদান করছি। এখন সব ঠিকঠাক রয়েছে। সবাই ফিরেও এসেছে। এখনও পালিয়ে রয়েছেন, এমন কোনও শ্রমিক নেই। এলাকার বাসিন্দা নুরজাহান হিমাতুল্লাহ বলেন, খুব উদ্বেগের বিষয়। কয়েকদিন আগেই ওই শ্রমিকের দল বাড়ি ফিরে কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। কিন্তু এভাবে সকলের বিপদ বাড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়াটা মোটেও উচিত কাজ নয়। যাঁদের রাখা হচ্ছে তাঁদের উপর নজরদারিও থাকা দরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হালনা মহম্মদপুরের ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ১৮-১৯ মে মহারাষ্ট্রে থেকে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে ৯০০ শ্রমিক এখনও পর্যন্ত বাইরে থেকে এলাকায় ফিরেছেন। বাকিরা বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। ওই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সেই মাদ্রাসাটিতে থাকা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেই প্রত্যেকে রবিবার ওই সেন্টার ছেড়ে পালিয়ে যান। এনিয়ে এলাকায় সংক্রমণের আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরাই শ্রমিকদের খুঁজতে বের হন। তাঁদের আবার সেন্টারে নিয়েও আসেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গাজোলের আলালের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ১৫০ পরিযায়ী শ্রমিক পালিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এবার পুরাতন মালদহেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।