শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
এপ্রিল মাসের শেষদিক থেকে ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসতে শুরু করেন। সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে ব্লকের বিএড কলেজেই প্রথম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়। ব্লকের অন্যত্র কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়তে বাধা এলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এককথাতেই প্রশাসনকে ভবন ছেড়ে দিয়েছিল। স্থানীয়দের বাধাও আসেনি। কিন্তু ওই সময়তেই বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে জানিয়েছিল, জুন মাসে পরীক্ষা এবং জুলাই মাসে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে কলেজ তাদের ছেড়ে দিতে হবে। প্রশাসন তাতে রাজি হয়েছিল।
ময়নাগুড়ি বিএড কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি মনোজ সাহা বলেন, জুলাই মাস থেকে আমাদের কলেজে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। এছাড়াও আমাদের কলেজ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ভেনু। তাছাড়া জুন মাসেই আমাদের ছাত্রীছাত্রীদের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে ক্লাস শুরু করতে হবে। সেই জন্য জুন মাস থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা প্রশাসনকে দ্রুত কলেজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছি। কারণ ওরা কলেজ ছাড়ার পর আমাদের গোটা ভবন স্যানিটাইজ করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। আশা করি, প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হবে তাই তাদের ভবন ছেড়ে দিতে হবে। আমরা কলেজ ছেড়ে দেব। কিন্তু আমরা বিপাকে পড়েছি। এরআগে ব্লকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। এখন কোথায় জায়গা পাই সেটাই ভাবাচ্ছে। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রতিদিনই এলাকায় ফিরছেন। আমরা চাইব, গ্রামবাসীরা আমাদের সহযোগিতা করুক।
ময়নাগুড়ির বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের অনন্তদেব অধিকারী বলেন, কলেজ ছাড়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের চিঠি আমার কাছেও এসেছে। আমরা নতুন কোথাও সেন্টার গড়ার যায় কি না তারজন্য জায়গা খুঁজছি। যদি কোথাও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ব্যাপারে বাধা আসে সেক্ষেত্রে প্রশাসনকে কড়া হতে বলব।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’মাসের বেশি হল কলেজ বন্ধ হয়ে আছে। পড়ুয়াদের ফি নেওয়ার প্রক্রিয়াও বন্ধ রয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন হোয়াটসঅ্যাপে পড়াশুনা চলছে। এই কলেজে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ জন আছেন।
প্রসঙ্গত, এখন ব্লকে বিএড কলেজ ছাড়াও আমগুড়ি রামমোহন হাইস্কুল এবং বোলবাড়ি নীলকান্ত পাল হাইস্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আছে। বিএড কলেজের আবাসিক পরিযায়ী শ্রমিকদের কোথায় রাখা যায় সেটাই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের।