শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
কোচবিহারের পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নিমাইচন্দ্র পাল বলেন, জল আটকানোর জন্য কিছু দপ্তরের ছাদে এপিপি মেমব্রেন লাগানো হয়েছে। কিছু জায়গায় টিনের শেড লাগানো আছে। দেখতে খারাপ লাগে বলে সেগুলি সরানোরও চিন্তাভাবনা রয়েছে। আগামী দিনে এ কাজ হবে। এতে জল পড়া আটকানো গিয়েছে।
কোচবিহারের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, শুনেছি আগে বিভিন্ন দপ্তরের ছাদ দিয়ে জল পড়ত। তবে এখন আর জল পড়ে না।
কোচবিহারের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও ইতিহাস গবেষক দেবব্রত চাকি বলেন, আগে বর্ষার সময়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উপরে বাঁশের স্ট্রাকচার করে তার উপরে ত্রিপল দেওয়া হতো। কারণ বর্ষায় ওসব দপ্তরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ত। এখন আর সেই দৃশ্য দেখা যায় না। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা উপায় বের করেছেন।
কোচবিহার শহরে রাজআমলে তৈরি হওয়া প্রচুর বিল্ডিং রয়েছে। এসব হেরিটেজ বিল্ডিংগুলিতে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর হয়। ভবনগুলি পুরানো হওয়ার কারণে অনেকগুলির ছাদ দিয়েই জল পড়ে। কোচবিহারের বর্ষায় প্রতিবছরই ওই দপ্তরগুলিতে কাজ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কর্মীদের। ছাদ থেকে জল পড়ার কারণে দেওয়াল ভিজে যাওয়ার পাশাপাশি নথিপত্র রাখতে গিয়েও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা মেটাতেই কয়েক বছর আগে ওই দপ্তরগুলির একাংশের ছাদে কোথাও টিনের শেড কোথাও আবার ত্রিপল দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও উন্নতমানের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাদেও এ পদ্ধতি অবলম্বন করে জল আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিক্টর প্যালেসেও একই কাজ করা হয়েছে। ফলে বর্ষার সময়ে দপ্তরগুলিতে পুরনো সেই দৃশ্য এখন আর কোচবিহারে দেখা যায় না।