প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
কুশমণ্ডি ব্লকের বিডিও সৈপা লামা বলেন, আমাদের ব্লক প্রশাসনের টিম এলাকার দু’টি কনটেইমেন্ট এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনীয় দরকারি জিনিসপত্র যাতে খুব সহজেই হাতের কাছে পায় তার ব্যবস্থা আমরা ব্লকের তরফে করেছি। গ্রামবাসীদের জরুরি ভিত্তিতে বাইরে বেরোনের ক্ষেত্রে পাস ইস্যু করার ব্যবস্থাও হয়েছে। গ্রামবাসীদের উৎপাদিত সব্জি যে তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না, এটা আমার জানা ছিল না। গ্রামবাসীরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল যাতে বিক্রি করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও আমরা আমাদের টিমের সঙ্গে মিটিং করে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে কুশমণ্ডি ব্লকে। জেলা প্রশাসন ব্লকের তেলিপুকুর ও দেহাবন্ধ এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর কুশমণ্ডি ব্লকের ওই দুই গ্রামের তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। কুশমণ্ডি থানার পক্ষ থেকে তেলিপাড়া ও দেহাবন্ধ গ্রামে ঢোকার মুখ্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নজরদারির জন্য পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন ওই দুই এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে গ্রামে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে তাঁদের সমস্যা বেড়েছে। গ্রামে মিলছে না নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। গ্রামে আসছে না কোনও সব্জি বিক্রেতা। গ্রামের কৃষকরা চাষ করলেও তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে যাওয়ার কোনও অনুমতি না থাকায় সমস্যা পড়েছেন। তেলিপুকুর ও দেহাবন্ধ গ্রাম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষের বাস। আজ ঈদ। তাই গ্রামের মানুষ আরও বেশি করে সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের অভাব-অভিযোগের ব্যাপারে কোনও খোঁজ নিচ্ছেন না।
কুশমণ্ডি জেলা পরিষদের সদস্য মিঠু জোয়ারদার বলেন, দেহাবন্ধ ও তেলিপুকুর এলাকায় আমরা, জনপ্রতিনিধিরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। গ্রামবাসীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ব্লক প্রশাসন যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের দল, তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেহাবন্ধ এলাকায় খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। দেহাবন্ধ ও তেলিপুকুর এলাকায় যথেষ্ট সব্জি উৎপাদন হয়। কৃষকরা যাতে তা বিক্রি করতে পারেন, তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
তেলিপুকুরের বাসিন্দা জহরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামবাসীর সুরক্ষার জন্যই এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন করেছে জেলা প্রশাসন। আমরা সকলেই খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমরা পাচ্ছি না। খুচরো সব্জি কিনতে সমস্যায় পড়ছি। তেল, সাবান , চাল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় ওষুধ বাইরের কাউকে আনতে বললে দ্বিগুণ টাকা চাইছে। গ্রামে কৃষকরা সব্জি চাষ করেছেন। পটল, ঢেড়স, শশা, লঙ্কা ইত্যাদি তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না। গ্রামের রাস্তা বন্ধ করে পাহারা চলছে। আমরা গ্রামের মানুষ কেমন আছি সেব্যাপারে ব্লক প্রশাসন একবারও খোঁজ নেয় না। তাই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আমাদের ঈদ রয়েছে। সেজন্য ন্যূনতম যেটুকু জিনিসপত্র কেনার কথা, তাতেও সমস্যা হচ্ছে।