ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এবিষয়ে পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, রায়গঞ্জ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাসকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে পালিয়েছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দুষ্কৃতীরা কী উদ্দেশ্যে এই গুলি চালায়,তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীরা ধরা পড়বে।
এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধূ লক্ষ্মী দাস বলেন, আমরা বাড়িতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাইরে বেরিয়ে দেখতে পাই আমাদের কাউন্সিলার মাটিতে পড়ে আছেন। তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক। এর বেশি আর কিছু দেখতে পাইনি।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী রাজা দাস বলেন, আওয়াজ শুনে বেরিয়ে এসে আমরা দেখতে পাই যে মোটর বাইকে চেপে দু’জন ছেলে পালিয়ে যাচ্ছে। তারা এই এলাকায় অনেকক্ষণ ধরে ঘোরাঘুরি করছিল। আমাদের কাউন্সিলার তপন দাস এলাকায় পৌঁছনোর পর তারা তাঁকে গুলি করে। তবে তাদের চেহারা আমরা দেখতে পাইনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার তপন দাস এদিন সকালে রায়গঞ্জের কান্তনগর এলাকায় সাফাইয়ের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে তপনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রথমে তপনবাবুকে মাথায় লক্ষ্য গুলি চালালে তপনবাবুর পাশ দিয়ে গুলিটি চলে যায়। পরে ওই দুষ্কৃতীরা দ্বিতীয়বার গুলি চালায়। সেই গুলি তপনবাবুর বুকের নিচে লক্ষ্য করে চালানো হয়। কিন্তু গুলিটি তার পেটের নীচে গিয়ে লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান তপনবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।
ঘটনার পরে কাউন্সিলারের ওয়ার্ডের প্রচুর বাসিন্দা হাসপাতাল ভিড় করেন। এর ফলে ওই চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল এবং রায়গঞ্জ হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দিনেদুপুরে একজন কাউন্সিলরের ওপর হামলা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত রায়গঞ্জবাসী।
এদিন মেডিক্যালে তপনবাবুকে দেখতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রত খুঁজে বের করে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিসের সঙ্গে কথা বলেছি।