হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্বাধীনতা দিবসের দিন এই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারটির যাত্রা শুরু হওয়ায় পড়ুয়া ও শিক্ষা অনুরাগী মহলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। শিক্ষা অনুরাগী মহলের বক্তব্য, এই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার বই পড়ার প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের স্মার্টফোনমুখী হওয়ার প্রবণতাও আটকাবে। এই বিষয়ে মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, পড়ুয়াদের বই পড়ার অভ্যাস জাগিয়ে তোলার লক্ষে আমরা ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের সূচনা করেছি। এই গ্রন্থাগারটি বই নিয়ে পড়ুয়াদের মাঝে যাবে। পরবর্তীতে এধরনের গ্রন্থাগারের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি বই পড়া নিয়েও জেলাজুড়ে আগ্রহ বাড়াবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারটি স্কুলে স্কুলে গিয়ে রিভিউ করবে। আপাতত ছোট একটি গাড়িতে বই ভরে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারটির সূচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে আমরা এর পরিধি বাড়াব। জনপ্রিয়তা পেলে প্রয়োজনে বড় গাড়ির ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।
মালদহ জেলা গ্রন্থাগারিক শম্ভু ভট্টাচার্য বলেন, এমনিতে গ্রন্থাগারগুলিতে পাঠক সংখ্যা কমে এসেছে। সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে গ্রন্থাগার নিয়ে যে ভাবনা তৈরি হয়েছে তা বদলানোর জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার চালু করেছি। এক্ষেত্রে বই পড়ার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটবে। পড়ুয়ারা তাদের পছন্দ মতো বই এই ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার থেকে সংগ্রহ করে পড়তে পারবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই এই গ্রন্থাগারটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে যাবে। সেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী তা থেকে বই নিয়ে পড়বে। পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারে নানা ধরনের বই রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারের সূচনা করেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। প্রথমদিন গ্রন্থাগারটি সংশোধনাগার সহ হোমগুলি পরিক্রমা করে। একটি ছোট গাড়িতে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে শিশু সাহিত্য, ছোট গল্প, ছোটা ভিম, মনীষীদের জীবনী সহ বিভিন্ন বই রয়েছে।