হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, ঝঙ্কার ক্লাবের হলঘরে আমাদের রক্তদান শিবির সবে শুরু হয়েছিল। ১০ জন রক্তদান করছিলেন। ওই সময়ে তৃণমূল আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ক্লাবে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েক জন আহত হন। পরে বিক্ষোভ দেখাতে গেল আমাদের কর্মীদের উপরে পুলিস লাঠিচার্জ করে। মহিলারাও রেহাই পাননি। আমাদের পাঁচ কর্মী আহত হন। শেখর রায় নামে এক কর্মী গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিসের মদতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেসময়ে দুষ্কৃতীরা গুলিও চালায়।
তৃণমূল অবশ্য রক্তদান শিবিরে হামলার ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এদিন আমাদের মহকুমা অফিসে ভাঙচুর চালায়। রক্তদান শিবিরে কেউ হামলা চালায়নি। গোটাটাই বিজেপির সাজানো ঘটনা।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, ঝঙ্কার ক্লাবে রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়। পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। লাঠিচার্জ করার অভিযোগ সঠিক নয়।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়ারহাটে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অর্তকিতে আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালায়। এই ঘটনায় আমাদের সাতজন কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বোমা, গুলি ছোঁড়া হয়। ধলপাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটরামপুরে সকালে আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁকে মারধরও করা হয়। গুড়িয়াহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতখড়িমালাতে এলাকা পুর্নদখলের করার চেষ্টা করে তৃণমূল। সেই সময়েও বিজেপি কর্মীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, হাওড়ারহাটে নব্য বিজেপি, আদি বিজেপি ও লাল বিজেপির মধ্যে গণ্ডগোল অনেক দিন ধরেই চলছে। এসব ওদের নিজেদের ঝামেলা। ধলপলে আমাদের কিছু সমর্থক পার্টি অফিসে আসছিলেন। সেসময়ে তাঁদের মারধর করা হয়। জখম তিনজন তুফানগঞ্জ এবং একজন কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি হয়। গুড়িয়াহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে বিজেপিরা একটি ঘর বসার জন্য দখল করে রেখেছিল। আমাদের লোকেরা তাতে আপত্তি তোলে। বিজেপি সব জায়গাতেই মিথ্যে কথা বলছে। আমাদের লোকেদের ফাঁসানোর জন্য এসব করছে।
কোচবিহার জেলাজুড়েই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দফায় দফায় গণ্ডগোল, সংঘর্ষের ঘটনা নিত্যদিনের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিতাইয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার সকালে আদাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিবোলা বাজারে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে অরাজকতা তৈরি করে রেখেছে। তারাই রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে বোমাবাজি করেছে।
বিজেপির কোচবিহার জেলার প্রাক্তান সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা করছে। অনেকেই বাড়িছাড়া হয়ে আছেন। সিতাই থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল করার অভিযোগে মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে।