হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বউভাতের অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হয়ে যায়। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও সারা গ্রামে থমথমে পরিবেশ। বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান ফেলে বিশ্বনাথবাবু ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ যতটা পারছেন সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্বজনহারা প্রতিবেশী- আত্মীয়দের। তবুও বাঁধ মানছে না চোখের জল। গ্রামের বাসিন্দা রাজু মণ্ডল বলেন, বিশ্বজিৎদার মুদিখানা দোকান রয়েছে। সেখানে তাঁর বাবাও বসেন। দুই ছেলে, এক মেয়ের বাবা বাবলুবাবু মেয়ের বিয়ের পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বড় ছেলের বিয়ে দেবেন। কিন্তু সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে গিয়ে হারাতে হল নিজের পড়শি ও স্বজনদের। তাই হাহাকার তাঁর গলাতেও।
শুক্রবার রাতের বউভাতের অনুষ্ঠানের জন্য আগেই বাঁধা হয়েছিল ম্যারাপ। রঙিন কাপড়ের সেই মণ্ডপ ইতিমধ্যেই খুলে ফেলেন ডেকরেটর কর্মীরা। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া এই গ্রামের বাসিন্দা অনেকগুলি পরিবারের জীবন থেকেই হারিয়ে গিয়েছে রং। তাই শোকে বিবর্ণ পরিবেশে বেমানান রঙিন মণ্ডপ আর বেশিক্ষণ ফেলে রাখেননি ডেকরেটরের কর্মীরা। তবুও এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বাঁশ আর কাপড়। অবস্থা বুঝে আর কিছু জানতে চাননি ক্যাটারারের কর্মীরাও। আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়েও নীরবে পাশে থেকেছেন। এতগুলি মৃত্যুর কাছে এই আর্থিক ক্ষতি কিছুই নয়, জানালেন এক ক্যাটারার কর্মী।
শোকে বিহ্বল ভবানীপুরে মৃতদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁকে জড়িয়ে কান্নার রোল উঠেছে আপনজন হারানো পরিবারগুলিতে। চোখে জল এসেছে বিধায়কেরও। কোনওমতে নিজেকে সামলে সাবিনা জানান, শোকার্তদের মধ্যে একটি পরিবারের এক সদস্যের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র কয়েক দিন আগেই। সেই শোক সামলানোর আগেই আবার আরেক ধাক্কা। সান্ত্বনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।