শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভয় থিপসের দাবি ছিল, ২০২০ সালের ১৩ মে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বলা হয়েছিল, লন্ডনের আদালতে এই মামলায় তিনি যেসব তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছেন, তা কংগ্রেসের দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু এই দাবি খারিজ করে বিচারক গুজি বলেন, ‘একটি সাংবাদিক বৈঠকে ওই মন্তব্য করা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছে ওটা পুরোটাই ছিল রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে। কংগ্রেস পার্টির তা নিয়ে মাথাব্যাথা হতে পারে, আমার নয়।’ গুজির একই মনোভাব ছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজুর প্রতিও। নীরবের প্রত্যর্পণ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে কাটজু অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের ৫০ শতাংশ বিচারক দুর্নীতিগ্রস্ত। এর জবাব দিতে গিয়ে গুজি বলেন, ‘২০১১ সালে আপনি অবসর নিয়েছেন। তখন আপনি ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি। বিচারব্যবস্থার এত শীর্ষ পদে থেকেও সেই সম্পর্কে এবং সহকর্মীদের প্রতি আপনার এই মনোভাব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়।’
প্রত্যর্পণের পর নীরব মোদিকে রাখা হবে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। মামলা চলাকালীন লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালতেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভারতের তরফে। এদিন জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নীরব মোদির জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে ১২ নম্বর ব্যারাকের তিনটি সেল। এর মধ্যে যে কোনও একটিতে রাখা হবে পিএনবি অর্থ তছরুপ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত নীরবকে। সেলের ভিতর তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হবে তিন বর্গ মিটার জায়গা। সেখানেই থাকবে বালিশ, চাদর, ম্যাট এবং কম্বল। পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাস চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে। -ফাইল চিত্র