কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
ছবিটা দেখে প্রথমটা হকচকিয়ে গিয়েছিল গোটা নেটবিশ্ব। হওয়াটাই স্বাভাবিক। মাত্র দু’জন যাত্রী নিয়ে আকশে উড়বে আস্ত একটা বিমান! পরক্ষণেই সবার ভুল ভাঙে ছবির নীচে পোস্ট করা একটা স্টোরি পড়ে। সেটি পোস্ট করেছেন রিচার্ড মুলজাদি। তাঁর বক্তব্যের সারমর্ম এরকম—‘কোভিড সংক্রমণের ভয় কিছুতেই আমাদের পিছু ছাড়ছিল না। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বেরোতে হবে। কাছেপিঠে বলতে ডেনপাসার। সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতে বিমানের সব টিকিটই বুক করে ফেলেছিলাম। আমাদের কাছে এর চেয়ে সর্বোচ্চ নিরাপদ যাত্রা আর কিছু হতে পারে না।’ মুলজাদির এই কাণ্ড নিয়ে মজেছেন নেট-নাগরিকরা। তাঁদের সরস মন্তব্যে ভরছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক ওয়াল। কেউ কেউ মনে করিয়ে দিচ্ছেন সক্রেটিসের সেই বিখ্যাত উক্তিকে—‘যাঁর টাকা আছে, তাঁর কাছে আইন খোলা আকাশের মতো...।’
এসব নিয়ে অবশ্য কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই মুলজাদির। তিনি জাকার্তা সোসাইটির একজন তাবড় কর্তা। টাকা-পয়সার অভাব নেই। স্ত্রী সালভ্যানে চ্যাংকে নিয়ে এই বিমান-সফরে যারপরনাই খুশি তিনি। ‘লোকে যা বলে বলুক’ গোছের ভাব নিয়ে মুলজাদি বলেছেন, ‘ওই বিমানের সব টিকিট কাটার পরও তা চাটার্ড বা ব্যক্তিগত উড়ানের চেয়ে অনেকটা সস্তাই পড়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিমানে সফর করতে। তাই অন্য কোনও যাত্রী উঠবেন না, এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই সফর করতে রাজি হই।’ মজা করে তিনি এটাও বলেছেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া কোনও যাত্রী ছিলেন না। সত্যিই আকাশে একটা ভূতুড়ে বিমান মনে হচ্ছিল।’
কী বলছেন বিমান সংস্থার কর্তারা? তাঁদের বক্তব্য, জাকার্তা থেকে বালির ডেনপাসারে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। বিমানে আর কোনও যাত্রী ছিলেন না। অথচ, ওঁরা কিন্তু দু’জনেরই টিকিট কেটেছিলেন। তা হলে পুরো বিমানটি কেন ফাঁকা থাকবে? তা নিয়ে উড়ান সংস্থার তরফে মুখ খোলা না হলেও নেটিজেনদের একটা বড় অংশ বলছেন, এমনও তো হতে পারে, বাকি আসনগুলির টিকিট বেনামে কেটেছিলেন মুলজাদি। আর এটাই তাঁর কৌশল ছিল।