বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের অপ্রতিরোধ্য গতি রোধ করতে এখন নাভিশ্বাস উঠছে গোটা বিশ্বের। প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়েও নানা মুনির নানা মত। টিকা আবিষ্কারে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাবড় বিজ্ঞানীরা। প্রতিযোগিতার দৌড় শুরু হয়ে গিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির মধ্যেও। সম্প্রতি, আমেরিকারই একটি সংস্থা মানবদেহে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগের দাবি করে। চীনের একটি নামজাদা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাও সেই তালিকায় ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও প্রচেষ্টাই সাফল্যের মুখ দেখেনি। জনসন অ্যান্ড জনসনের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টোফেলস অবশ্য আত্মবিশ্বাসী, করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারে তাঁদের সাফল্য গোটা বিশ্বকেই পথ দেখাবে। গতকাল সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, টিকা তৈরির কাজে মার্কিন সরকারের বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। যৌথ উদ্যোগেই তারা কাজ চালাবে। আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলির কাছেও টিকা সরবরাহ সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই সংস্থা। এর আগে মার্কিন এই বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইবোলার টিকা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা-বধে উদ্যোগী হয় তারা। জানুয়ারির শুরুতেই ‘এডি২৬ সার্স-কোভ-২’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে ইবোলার টিকা আবিষ্কারের পদ্ধতি ও প্রযুক্তিকে অনুসরণ করা হয়েছে বলে সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে। স্টোফেলস বলেছেন, ‘সাধারণ সর্দি-জ্বরে দায়ী থাকা ভাইরাসগুলিকে একত্রিত করে করোনার কোমর ভেঙে দেওয়ার একটি পদ্ধতি তৈরিতে আমরা সাফল্য পেয়েছি। যেটি মানব দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখে দিতে সক্ষম হবে।’ ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া বেশ কয়েকটি টিকা পৃথক পৃথক ভাবে প্রাণীদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে কার্যকারিতার নিরিখে সেরাটাই বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্টোফেলস। যদিও এর আগে যে সমস্ত সাধারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে, সেগুলির কোনওটাই কোভিড১৯ ভাইরাসের পরিবারভুক্ত নয়।
তা হলেও জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তার দাবি, ‘আমরাই করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরিতে পথ দেখাব। কারণ, এর আগে বহু রোগের টিকা আবিষ্কারেও আমরাই প্রথম সারিতে ছিলাম। সেই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীরা করোনার টিকা তৈরিতে কাজ করছেন। এবং তাঁরা সফল।’ সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই পরীক্ষামূলকভাবে মানব দেহে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।