বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্কে। শহরের একটি হাসপাতালে কাজ করেন কামিনী। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এই মারণ থাবা দেখে নিজেকে যেন কিছুতেই সামলাতে পারছেন না। একটু শ্বাসের জন্য ছট্ফট্ করছেন আক্রান্ত মানুষ। ভেন্টিলেটরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। বিধিনিষেধের কারণে পরিবারের মানুষকেও কাছে পাচ্ছেন না তাঁরা। দুবে বলছেন, ‘মৃত্যুশয্যায় মানুষ নিঃসঙ্গ। আইসিইউ থেকে পরিবারের সদস্যদের ফোন করছি। তাঁদের কান্না শুনতে পাচ্ছি। কেঁদে ফেলছি নিজেও। ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে। কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। শেষ সময়ে আপনজনদের পাশে পাচ্ছেন না। ভয়াবহ অবস্থা।’
চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আর পাঁচজনের মতো করেই অসুস্থ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছেন ৩১ বছরের দুবে। তাঁর কথায়, ‘অসুস্থ মানুষের স্রোত আসছে শহরের হাসপাতালগুলিতে। আগে কখনও এতটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়নি। চারপাশে মানুষের আর্তনাদ। শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটা ভারাক্রান্ত আগে কখনও বোধ করিনি।
কিন্তু অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তাও জরুরি।’ চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আর সবার মতো চিন্তিত তিনিও। নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম প্রয়োজন। কামিনী দুবে বলছিলেন, ‘শহিদ হব বলে আমরা এই পেশায় আসিনি। আমরা গুরুতর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি। আমাদেরও নিরাপত্তার প্রয়োজন। আমরা কোনও যুদ্ধক্ষেত্রে নেই। পাশাপাশি অসুস্থ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলে কী হবে, চিকিৎসক হিসেবে ভেবে উঠতে পারছি না। এত ভেন্টিলেটর, সরঞ্জাম কোথা থেকে আসবে?’
পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেজন্য মানুষকে বিধিনিষেধ মানার পরামর্শ দিচ্ছেন দুবে। তাঁর কথায়, ‘চোখের সামনে মৃত্যু দেখাটা সত্যি কষ্টের। ভবিষ্যতে কী আছে জানা নেই। মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। আশা করি, নিজেদের স্বার্থেই আমরা পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে আসব।’