কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এদিন দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফালেইরো জানান, ‘আমি চিরকালের কংগ্রেস কর্মী। কিন্তু এখন প্রকৃত কংগ্রেস হল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্ট্রিট ফাইটার। এখন নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য প্রয়োজন এরকমই এক লড়াকু নেত্রীর।’ কংগ্রেসের পতন রোখার ব্যাপারে মোটেই আশাবাদী নন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রদেশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। গোয়া নিয়ে ইতিমধ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূল সূত্রের খবর, অক্টোবর মাসে গোয়ায় পার্টি অফিস উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হবে দলের। ওই সময় দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোয়ায় আসতে পারেন।
তৃণমূলের দুই এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন ধরেই গোয়ায় রয়েছেন। প্রায় তিন মাস ধরে সে রাজ্যে কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক টিমের ১৮০ জন সদস্য। ফালেইরো একা নন, সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক অ্যাঞ্জেলো ফার্নান্ডেজের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস এবং বিজেপির আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক। আসছেন দুই তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় এবং মনোজ তিওয়ারি। সব মিলিয়ে জোড়াফুল শিবিরের যাত্রাশুরুর মঞ্চ প্রস্তুত গোয়ায়। ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘অন্য রাজ্যের দলগুলির নেতাকর্মী ও বিধায়করা একটি কারণেই তৃণমূলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সেটা হল, আমাদের দলের কোনও হাইকমান্ড কালচার নেই। গোয়ার তৃণমূল কোন পথে চলবে, সেটা স্থির করবে স্থানীয় নেতাকর্মী-বিধায়করাই। এখানে কোনও হাইকমান্ড নির্দেশ দেবে না।’
গোয়ার স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির। প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও গতবার এই দুই দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। গোয়ায় পা জমাতে দুই পার্টির নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছে জোড়াফুলের প্রতিনিধিরা। গোয়া বিধানসভায় ৪০টি আসন। ২০১৭ সালে কংগ্রেস ১৭টি আসনে জয়ী হয়েও সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেয় বিজেপিতে। পরবর্তী সময়ে দলবদল করেন আরও দু’জন। এবার বিধায়ক ফালেইরোর ইস্তফায় গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের শক্তি আপাতত মাত্র ৪। আর মাস চারেক পরে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই এই ক্ষুদ্র রাজ্যে প্রবেশে সচেষ্ট তৃণমূল। সেই পরিকল্পনায় কংগ্রেসের শক্তিশালী নেতার যোগদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।