কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধের জেরে বাতিল এবং রুট পরিবর্তন মিলিয়ে দু’ডজনেরও বেশি ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়েছে। দিল্লি, আম্বালা, ফিরোজপুর রেলওয়ে ডিভিশনের অন্তত ২০টি জায়গায় রেললাইন জুড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। নিউ দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, অমৃতসর শতাব্দী এক্সপ্রেস, দিল্লি-অমৃতসর শান-ই-পাঞ্জাব, নিউ দিল্লি-মোগা এক্সপ্রেসের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের চলাচল প্রভাবিত হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই কর্মসূচির জেরে যাঁরা আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের জন্য জল, দুধ, খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধের সমর্থনে এদিন নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। প্রতিবাদ অবস্থান হয় সারা দেশেই। কৃষকদের এই কর্মসূচির সমর্থনে এদিন দেশব্যাপী পথে নামে সিপিএম তথা বাম দল ও কংগ্রেস সহ অন্যান্য অবিজেপি রাজনৈতিক সংগঠন। কার্যত মোদি বিরোধী জোটমঞ্চের চেহারা নেয় এদিনের কর্মসূচি। যা মোদি সরকারের উদ্বেগ বহু গুণ বৃদ্ধি করবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। সোমবারের কর্মসূচি চলাকালীন দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও পুলিসের দাবি, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে ওই কৃষকের। বেঙ্গালুরুতে এক কৃষক নেতাকে আটকাতে গেলে ডিসিপির পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
চেন্নাইয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় পুলিসের। বহু কৃষককে আটক করা হয়। দিল্লি-হরিয়ানা রুটের ১৪টি প্রবেশ ও প্রস্থান পথে রাস্তা অবরোধ করেন কৃষকরা। রাকেশ টিকায়েতের নির্দেশ ছিল, ‘যেখানেই ফাঁকা দেখবে, অবস্থানে বসে যাবে।’ সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, এক বছর আগে এইদিনেই কৃষি বিলে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তারপর তা পরিণত হয়েছিল আইনে। সেই কারণে বন্ধের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়। মোর্চার দাবি, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যে বন্ধের প্রভাব পড়েছে। দিল্লিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় একটি মেট্রো স্টেশন। কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এদিন সকালেই ট্যুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সরকার চাষিদের শোষণ করছে, এই অভিযোগ করেন তিনি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেন।