কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেন রাজীব-জমানার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূলের জমি শক্ত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দিন কয়েকের মধ্যেই মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে তাঁকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেন দলনেত্রী। মমতার এহেন সিদ্ধান্ত জেনে কার্যত আপ্লুত হন সুস্মিতা। এদিনও তিনি সেই আবেগ ব্যক্ত করে বলেন, সাংসদ হিসেবে আগেও আমি প্রতিনিধিত্ব করেছি অসমের হয়ে। তবে এবার বাংলা থেকে নির্বাচিত হওয়ার বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, আমার বাবার সঙ্গে বাংলার রাজনীতির দৃঢ় যোগ ছিল। কলকাতায় আমাদের একটা বাড়িও রয়েছে। সর্বোপরি, জাতীয় রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় যে এভাবে সম্মান দেবেন তা কল্পনার বাইরে ছিল। এজন্য আমি যার পর নাই কৃতজ্ঞ। এখন থেকে আমি বাংলা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির বঞ্চনা নিয়ে সংসদে সরব হব। মোদি সরকার যেভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় সংসদ পরিচালনা করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো অত্যন্ত জরুরি।
ত্রিপুরা প্রসঙ্গে সুস্মিতার বক্তব্য, ওই রাজ্যে কোনও আইনের শাসন নেই। বিরোধীদের কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে দিচ্ছে না রাজ্যের বিজেপি সরকার। সর্বোপরি, ওখানকার মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলি সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল নন। আসলে উনি একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন নাগরিক। আদালতের ক্ষমতাকেও চ্যালেঞ্জ করে কথাবার্তা বলছেন। ওঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা নিয়ে আমরা দলে আলোচনা চালাচ্ছি।