অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে মঙ্গলবার ফের বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলোয় একপ্রস্থ আলোচনা সারেন অমিত শাহ, নরেন্দ্র সিং তোমার, পীযূষ গোয়েল। গত ৪৮ ঘণ্টায় নাড্ডার বাড়িতে তিনবার বৈঠক করলেন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ফলে সংসদে সংখ্যার জোরে তিনটি বিল পাশ করিয়ে রাষ্ট্রপতির সম্মতি আদায়ে কৃষি এবং কৃষক সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়ে গেলেও বাস্তবে কৃষক আন্দোলনের জেরে নাজেহাল সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি আইনের চুলচেরা বিচার করে কৃষকদের চাহিদা, সমস্যা, সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে একটি প্যানেল গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যেখানে সরকার ও কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা থাকবে। সেই মতো কৃষক সংগঠনকে তাদের প্রতিনিধির নাম দিতে বলা হয়। কিন্তু রাজি হয়নি কৃষকরা। জট কাটাতে তাই ফের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগেও দু’দফা বৈঠক করেছে মোদি সরকার। ১১ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। ফলে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে মোদি সরকার।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের জেরে সরকার নাজেহাল তো হচ্ছেই, একইসঙ্গে এনডিএ’র মধ্যেও বাজতে শুরু করেছে অসন্তোষের সুর। বিজেপির সঙ্গে সহমত হতে পারছে না শরিকদের একাংশও। সোমবার রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির এমপি হনুমান বেনিওয়ালের পর মঙ্গলবার ক্ষোভ জানিয়েছে হরিয়ানার জননায়ক জনতা পার্টিও (জেজেপি)। হরিয়ানায় বিজেপির মনোহরলাল খাট্টারের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অন্যতম শরিকই নয়, জেজেপির নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রীও বটে। জোটের অন্দরের এই বিদ্রোহে বিপাকে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।
দুষ্যন্তের পিতা প্রাক্তন এমপি তথা জেজেপি প্রধান অজয় সিং চৌতালা বলেছেন, কৃষকদের এই আন্দোলনের সমাধান করার জন্য কেন্দ্রের বড় মনের প্রয়োজন। তাছাড়া এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) ব্যবস্থা যখন বন্ধ হবে না বলে বারবার মুখে বলা হচ্ছে, তখন সেটাই লিখিতভাবে নিশ্চিত করতে অসুবিধে কোথায়? কেবল জেজেপি নয়, কৃষকদের পাশে থাকতে দাদরির নির্দল বিধায়ক সোমভির সাঙ্গোয়ান হরিয়ানা সরকার থেকে নিজের সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। তবে, কৃষক ইস্যুতে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত আইন বাতিল না করার অবস্থানে অনড় থাকায় হরিয়ানার সরকার ক্রমশ বিপদের মুখে চলে যেতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। কারণ, ৯০ আসনবিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপির সংখ্যা ৪০। কংগ্রেসের ৩১। জেজেপি’র ১০। বাকি একজন করে আইএনএলডি এবং এইচএলপি। সাতজন নির্দল। তাই জেজেপি কোনও কারণে সরকার থেকে সরে এলে হরিয়ানায় খাট্টারের আসন টলমল!