বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
মোরাদাবাদের বাড়িতে ফিরবেন বলে এদিন সকালে ১১ বছরের ছেলে আর বউকে নিয়ে আনন্দবিহার থেকে বাসে ধরবেন বলে এসেছিলেন ফল বিক্রিতা যোগীন্দার সিং। কিন্তু, পুলিস বাধা দেওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। হতাশ যোগীন্দার বলেন, ‘পুলিস অনুমতি দিল না। তাই ফিরে যেতে হচ্ছে। স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে তো আর পুলিসের লাঠির ঘা খেতে পারি না!’ যোগীন্দার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন শাহদারার বিজয়নগর এলাকায়। ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ। এই অবস্থায় ঘর ভাড়া দিয়ে রোজকার খরচ মেটানো সম্ভব নয়। তাই, বাড়ি ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। এখন কী করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেবেন, তা ভেবেই পাচ্ছেন না। এখান থেকে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। যোগীন্দার বলছিলেন, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত খুলে দিলে হেঁটে পৌঁছনোর একটা শেষ চেষ্টা করতাম।’
মহম্মদ আনোয়ার। বুটিকের কাজ করেন। দু’সপ্তাহ আগে তিনি বিহারের সীতামারি থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। কিন্তু, এভাবে যে আটকে পড়বেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। আনোয়ার আক্ষেপ করছিলেন, ‘দিল্লিতে আমি একাই ছিলাম। আমার বাবা-মা থাকেন সীতামারিতে। এখান থেকে দূরত্ব প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার। হেঁটে গেলে অন্তত চারদিন লাগবে। কিন্তু, আমার শরীর ভালো নেই। তাই হেঁটে ফেরা সম্ভব নয়। বাস ধরতে এসেছিলাম। কিন্তু, পুলিস বাসস্ট্যান্ডের কিছুটা আগেই ব্যারিকেড গড়ে আটকে দিল। আমার কাছে অত টাকাও নেই। কীভাবে যে কী হবে, তা কিছুই বুঝতে পারছি না।’ শুধু যোগীন্দার বা আনোয়ারই নন, তাঁদের মতো এরকম সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। এখন সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।