বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, এতদিন পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা একটি ব্যাঙ্কে পরিষেবা চালু ছিল এবং গ্রামীণ গ্রামীণ শাখাগুলিতে একদিন অন্তর পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আজ থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা চালু করতে নির্দেশ এসেছে আমাদের কাছে। এই নির্দেশে আমরা রীতিমতো শঙ্কিত। কারণ, আমাদের ধারণা, নোট বাতিলের পরবর্তী পর্বে যেভাবে ব্যাঙ্কে ভিড় হতো, ফের সেই পরিস্থিতি চালু হতে চলেছে। ৩৫ কোটি মানুষের জনধন অ্যাকাউন্ট আছে। তাঁরা যদি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে আসেন, তাহলে পরিস্থিতি কী ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। আমরা অর্থাৎ ব্যাঙ্ক অফিসার এবং কর্মীরা একারণে শঙ্কিত। এই বিপুল ভিড়ে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, আমরা করোনার প্রকোপের গোড়া থেকেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাব। তবে কয়েকটি দাবি আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রেখেছি। প্রথমত, যে সব ব্যাঙ্ক কর্মী পরিষেবা দিচ্ছেন, তাঁদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করুক সরকার। দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্কের মধ্যে আজ সোমবার থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়ার কারণে যে বিপুল ভিড় হবে, তা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিক সরকার। তৃতীয়ত, ব্যাঙ্কিং মিত্র হিসেবে যে কর্মচারীরা গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দেন, তাঁদের স্যানিটাইজার দেওয়া থেকে শুরু করে অগ্রিম বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। আমাদের চতুর্থ দাবি হল, কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য কর্মী সহ ইমার্জেন্সি কাজে যুক্ত কর্মীদের জন্য যে ৫০ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছে, তার আওতায় আনা হোক ব্যাঙ্ক কর্মীদের।