অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কোভিড মহামারীর মধ্যে প্রথম বিধানসভা ভোট হয়েছে বিহারে। সেখানে বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা এক হাজারে বেঁধে দেয় কমিশন। গত সেপ্টেম্বর মাসে অবশ্য জানানো হয়, পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে এই সংখ্যাটা সর্বাধিক দেড় হাজারই রাখা হবে। সেইমতো এরাজ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। তার মধ্যেই বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা হাজারে বেঁধে রাখার বিষয়টি সামনে এসেছে। যা কার্যকর হলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, রাজ্যের প্রায় ১০০টি বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন। বেশ কিছু বুথে সেই সংখ্যা এক থেকে দেড় হাজারের মধ্যে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট বুথ রয়েছে ৭৮ হাজার ৮০৪টি। ভোটার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিলে সংখ্যাটা আরও ৩০ হাজার বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন কমিশনের কর্তারা। সেক্ষেত্রে ভোটকর্মীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। একটি বুথে কমপক্ষে চারজন হিসেবে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটকর্মীর প্রয়োজন পড়বে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেই একাজে নিয়োগ করা হয়। অবিলম্বে তাঁদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। নতুন সহায়ক বুথের জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ এবং গাড়ি—দু’টি বিষয়েও তাঁদের সক্রিয় হতে বলেছে কমিশন। অন্য রাজ্য থেকে আনা হবে অতিরিক্ত ইভিএম।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভার ভোট ধরে নিয়েই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দপ্তর। দপ্তরের কর্তাদের অনুমান, ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে রাজ্যে আসতে পারে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। তাই তার আগে এবাপারে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ গিয়েছে জেলাশাসকদের কাছে। তামিলনাড়ু, কেরল, অসম, পুদুচেরিতেও একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে এবারের পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ে বেশি তৎপর জাতীয় নির্বাচন কমিশন।