বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ৪৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে এদিন সরকার ও বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস মিলিতভাবে প্রস্তাব এনেছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যে সংস্থাগুলি বিক্রি করতে চাইছে কেন্দ্র, তার মধ্যে ১০টি এই রাজ্যের। এর মধ্যে বেঙ্গল কেমিক্যাল, অ্যালয় স্টিল, ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড প্রভৃতি শিল্প সংস্থা আছে। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নিয়ে প্রস্তাবটি এলেও আলোচনার সময় কংগ্রেসের অসিত মিত্র ও সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী রাজ্যের কয়েকটি সরকারি সংস্থার প্রসঙ্গ তোলেন। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির ব্যাপারে সরকারকে চিন্তাভাবনা করতে বলেন অসিতবাবু। সুজনবাবুও বলেন, মেট্রো ডেয়ারি, মাদার ডেয়ারির কী হবে? ট্রাম কোম্পানির জমি নিয়েই বা কী হয়েছে? প্রস্তাবের উপর আলোচনার জবাবি ভাষণে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থবাবু বলেন, মেট্রো ডেয়ারির বিষয়টি এখন বিচারাধীন। তাই এনিয়ে আলোচনা করা যায় না। প্রসঙ্গত, বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রিতে অনিয়ম নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বাম ও কংগ্রেস। এদিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় বিরোধীরা রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য দোলা সেনের বিজেপি-র সমর্থনে ইএসআই রোর্ডের সদস্য হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পার্থবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, এগুলো বড় করে দেখবেন না।
প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময়, পরিষদীয় মন্ত্রী শিল্পের জমিতে আবাসন হওয়ার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বন্ধ শিল্পের জমিতে অন্য শিল্প না হয়ে আবাসন হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হচ্ছে না। শুধু কর্মদিবস বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বিক্রি করে দেওয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ওরা যুক্তি দিচ্ছে ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সামাজিক দায়িত্বও আছে।
প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২৯৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা একে একে বিক্রি করে দেবে কেন্দ্র। ৮০টি লাভজনক সংস্থাও বাদ পড়বে না। কয়েক লক্ষ শ্রমিক এতে সঙ্কটে পড়বেন। চীনের আদলে শ্রম আইনে সংশোধন করছে কেন্দ্র। এটা হলে শ্রমিকরা তাঁদের অধিকার হারাবেন। তৃণমূলের নির্মল ঘোষ বলেন, বেঙ্গল কেমিক্যালের মতো লাভজনক সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। জেসপ অধিগ্রহণ করার জন্য রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ হলেও কেন্দ্র অনুমোদন না দেওয়ায় কিছু করা যাচ্ছে না। জেসপ সংস্থাটিও বিক্রির তালিকায় আছে। সুজনবাবু বলেন, কয়লা, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ হলে দেশের বিপদ বাড়বে। এই প্রস্তাবের উপর বিজেপি-র কোনও বিধায়ক আলোচনায় অংশ নেননি। বিধানসভার লবিতে পার্থবাবু বলেন, রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপি-র ১৮ জন এমপি-র রাজ্যের সংস্থাগুলির জন্য সোচ্চার হওয়া উচিত।