উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্রের উপরেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে রোল নম্বর লিখতে হবে। তাই কেউ হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্রের ছবি পাঠালে, দোষী পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে। দ্বিতীয়ত, এই পদ্ধতিতেই প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। উত্তর অযথা বড় না করে যথাযথ লেখার অভ্যাস তৈরি হবে ছাত্রছাত্রীদের। পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে নম্বরও বাড়বে বলে সংসদের বিশ্বাস। ছোট প্রশ্নের অংশে এখনও উত্তরপত্র লিখে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এবার তা সবক্ষেত্রেই কার্যকর হতে পারে।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে নম্বরের জোয়ার এসেছে। এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মহুয়া দাস একগুচ্ছ ‘স্কোরিং সাবজেক্ট’-এর অন্তর্ভুক্তির কথা তুলেছেন। তিনি বলেন, বৃত্তিমূলক বিষয়গুলির মধ্যে হেলথ কেয়ার, রিটেইল ম্যানেজমেন্ট, আইটি, আইটিইএস-এর মতো বিষয় রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে আরও বেশ কিছু প্রধান বিষয় যাতে ভালো নম্বর ওঠে। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়েছে, যার ফলে পড়াশোনার ফোকাসটাই পাল্টে গিয়েছে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যসূচির সঙ্গে সমন্বয়ের পাশাপাশি জয়েন্ট এবং অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে মডেল বই সংসদ প্রকাশ করেছে, সেটাও পড়ুয়ামহলে জনপ্রিয় হয়েছে। সেগুলি ছাত্রছাত্রীরা মনোযোগ সহকারে পড়ছে। স্কুলগুলির মধ্যেও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এসেছে। কলকাতার স্কুলগুলি জেলাগুলিকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে। তাই রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলগুলির মডেল মেনে অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পড়ুয়াদের তৈরি করতে বিশেষ ক্লাস নিচ্ছেন। তার সুফল মিলছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উচ্চ মাধ্যমিকের এই নম্বর বৃদ্ধিকে ইতিবাচক প্রবণতা বলেই দাবি করেছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলা বা ইংরেজিতে কম নম্বর থাকলে প্রয়োজনে সেটি ষষ্ঠ পত্র হয়ে যেতে পারে, এই নিয়ম চালু হওয়ার ফলে সেরা পাঁচে নম্বরের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার বৃত্তিমূলক বিষয়গুলিকে ষষ্ঠ পত্র হিসেবে ধরে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তাঁরা প্রধান বিষয়ে খারাপ করলেও সমস্যা হয় না। সেটা তখন ষষ্ঠ বিষয় হয়ে যায় এবং ষষ্ঠ বিষয়টি সেরা পাঁচের মধ্যে চলে আসে। এভাবেই নম্বরের বহর বাড়ছে।
এ বছর ‘ও’ (৯০-১০০), এ+ (৮০-৮৯) এবং এ (৭০-৭৯) গ্রেড পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। এই তিনটি গ্রেড পাওয়া মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৫৬ জন। গত বছর তা ছিল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০৮ জন । বি+ (৬০-৬৯), বি (৫০-৫৯), সি (৪০-৪৯) এবং পি (৩০-৩৯) গ্রেড বা ডিভিশন পেয়ে পাশ করা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা আগের বারের চেয়ে কমেছে। এবার সেই সংখ্যা হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৯৮ জন। গতবার সেই সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৯১ জন। অর্থাৎ মধ্য এবং নিম্নমেধার হার নিম্নমুখী হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর কোনও বিষয় নিয়ে পড়লে কোন কেরিয়ারে যাওয়া যাবে বা উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাওয়া যাবে, তার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা এবারই প্রথম প্রকাশ করেছে সংসদ। সংসদের ওয়েবসাইটে তা তুলে দেওয়া হয়েছে। সংসদ সভাপতি বলেন, এতে ছাত্রছাত্রীদের বিষয় বিন্যাস এবং কেরিয়ার বেছে নিতে অনেকটাই সুবিধা হবে।