সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, ওই দুই ব্যাঙ্ক কর্মী ডেকার্স লেনের দিকে থেকে বাইক চালিয়ে আসছিলেন। লেনিন সরণির আগে ধর্মতলার মোড়ে হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত সার্জেন্ট রিন্টু সরকার বাইকটিকে আটক করেন। সার্জেন্ট বাইক চালক এবং আরোহীকে ব্রেথ অ্যানালাইজার যন্ত্রে ফুঁ দিতে বললে, তাঁরা ফুঁ দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি দুই ব্যাঙ্ক কর্মী পুলিস অফিসারের সঙ্গে পাল্টা তর্ক জুড়ে দেন। এই সময়ই ব্যাঙ্ক কর্মীরা ওই সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। এতে কর্তব্যরত সার্জেন্ট রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁর হাতে থাকা ব্রেথ অ্যানালাইজার যন্ত্রটিও রাস্তায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সার্জেন্টকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক কনস্টেবল এগিয়ে এলে, তাঁকেও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের আউটপোস্ট থেকে উপস্থিত পুলিসকর্মীরা এসে, ওই দুই ব্যাঙ্ক কর্মীকে আটক করেন। পরে তাঁদের হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিগৃহীত সার্জেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আটক দু’জনকে গ্রেপ্তার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস।
রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিস অফিসারদের মারধর, কাজে বাধা দেওয়ার মতো জামিন অযোগ্য ধারার পাশাপাশি মোটর ভেহিকেলস আইনের ১৮৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ধৃত দুই ব্যাঙ্ককর্মীকে শনিবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালত ধৃতদের ৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।