সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের দাবি ছিল, বন্ধ হয়ে যাওয়া গোবরডাঙা হাসপাতাল চালু করার। এই নিয়ে ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রশ্ন মুখেও পড়তে হয়। কেননা, এই হাসপাতাল বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষকে দূরদূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। আর ভোট প্রচারের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, গোবরডাঙা হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হয়েছিল। এখন বন্ধ আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুরসভাকে দিয়ে রাজ্য সরকার এটা চালু করবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেছিল, এবার লোকসভা ভোটে এর লাভ পাবে তাদের দল। কিন্তু দেখা গেল, তেমনটা হয়নি। গোবরডাঙা পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ১৭টি। তার মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল পিছিয়ে।
তৃণমূলের অনেকে বলছেন, গোবরডাঙা হাসপাতাল নিয়ে মানুষের মধ্যে চোরা ক্ষোভ রয়েছে। কেননা, বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে ভোটের সময়ে এই গোবরডাঙা হাসপাতালকে ইস্যু করা হয়। কিন্তু ভোট মিটে গেলে অবস্থা তেমনই থাকে। এনিয়ে গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, হাসপাতাল চালু হবে, এটা নিশ্চিত। জেলা পরিষদ থেকে সমস্ত কাগজ চলে গিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে। প্রক্রিয়াতে কিছুটা সময় লাগছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর গ্যারান্টি মানে বাংলার মানুষ জানে সত্যি। দ্রুত হাসপাতাল চালু হবে। আর সিপিএমের দাবি, গোবরডাঙা হাসপাতাল চালু করা নিয়ে প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে মানুষ ক্লান্ত। ২০১৪ সাল থেকে একইভাবে চলেই যাচ্ছে। ওঁদের ক্ষমতা থাকলে ১ জুলাই হাসপাতাল চালু করে দেখাক।