অভিষেক পাল, রানাঘাট, সংবাদদাতা: পুজোর মরশুমে গাঁদা ফুলের চাহিদা থাকে ঊর্ধ্বমুখী। তাই এই সময় গাঁদা ফুলের চাষ করে সারা বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি লাভের মুখ দেখেন রানাঘাটের নোকারি সহ আশপাশের এলাকার ফুল চাষিরা।
ব্রতীন দাস: শীতের পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনই। এমনটাই বলছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সুপারিশ, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রবি মরশুমে চাষের জন্য পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।
বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
অলোক বন্দ্যোপাধ্যায় : বীরভূম জেলার মুরারই ২ নম্বর ব্লকের জাজিগ্রাম, আমডোল, পাইকোর ১ ও ২, নন্দীগ্রাম ও রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধানের ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এমনিতেই এবছর এই অঞ্চলে আমন ধান চাষে জলের অভাব ছিল। পরে ভালো বৃষ্টি হওয়ায় জলের অভাব মিটে যাওয়ায় চাষিরা ভালো ফলনের আশায় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে অতিরিক্ত জল বাঁশলৈ নদী ও তার শাখা পাগলা নদীতে এসে পড়ায় নদীর দু’পাশের প্রায় ৩৭০০ হেক্টর জমির আমন ধানের চাষ জলের তলায় চলে যায়। জমিতে বেশ কিছুদিন জল দাঁড়িয়ে থাকার পর জল সরে গেলেও প্রায় ১১০০ হেক্টর জমির আমন ধানের ফলন নষ্ট হয়ে যায়। ব্লকের রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ব্লকের বেশিরভাগ চাষি ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলে আমন এবং বোরো, দুই ধরনের ধানের চাষ হয়। কিন্তু আমন ধানের চাষ ব্যাপকভাবে করে থাকেন। এখানে মূলত প্রতীক্ষা, আইইটি-৫৬-৫৬, বিবি-১১, এমপিভি-৭০০৯ এবং স্বর্ণ ধানের চাষই চাষিরা করে থাকেন। ঝাড়খণ্ড থেকে অতিরিক্ত জল নদীতে চলে আসায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে চাষিদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাষিদের পাশে থেকে সহযোগিতা করব। যে সমস্ত চাষির আমন আমন ধানের ফলন নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেই চাষিরা যোগাযোগ করলে আমরা কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির চাষির সঙ্গে কথা বলে ক্ষতির পরিমাণ জানান চেষ্টা করছি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বীরভূমের মুরারই দুই নম্বর ব্লকের মিত্রপুর, নন্দীগ্রাম, জাজিগ্রাম, পাইকোর ১ ও ২, কুসমোর ১ ও ২ ও রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামের ৩৩১৪ জন চাষির হাতে এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন ব্লকের কৃষি আধিকারিক রমেন মণ্ডল। তিনি বলেন, যে সমস্ত চাষি এখনও আবেদন করেননি, তাঁরা এই সুবিধা নেওয়ার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত অথবা কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবেদনের সময় ও তারিখ জেনে নিয়ে আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ১০, ৬২৯ টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১০,৫১০টি আবেদন বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। চেক এসেছে ৩৫৩৪টি। এর মধ্যে ৩৩১৪টি চেক চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২২০ জনের চেক চাষির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও যে সমস্ত আবেদনকারি চাষির চেক এখনও আসেনি, তাঁদের চেক খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে এবং তুলে দেওয়া হবে।
