কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০ হাজার আম, ৪ হাজার লিচু, ২ হাজার ৮০০ পেয়ারা, ৫ হাজার ৫০০ লেবু চারা এই সেপ্টেম্বর মাসেই চাষিদের মধ্যে বিলি করা হবে। এজন্য মিশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ হর্টিকালচার বা এমআইডিএইচ প্রকল্প থেকে সব মিলিয়ে মোট ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। এই ধরনের ফল চাষের ফলে চাষিরাও ব্যাপক উপকৃত হবেন। আর্থিক দিক দিয়ে তাঁরা লাভবান হতে পারবেন। উদ্যানপালন দপ্তরের মতে মালদহ জেলায় ওই ফলগুলির ফলনও ভালো হবে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, ২০১৭ সালে জেলায় ভয়াবহ বন্যায় আমের প্রচুর বাগান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তখন সামগ্রিক আমচাষের যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ করতেই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে জেলায় আমের বাগানের পরিমাণ বাড়াতে চলেছি। এই মাসেই জেলার সব ব্লক মিলে এবার অতিরিক্ত ১০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হবে। এছাড়াও ৪০ হেক্টর জমিতে চাষ করার জন্য লিচু চারা, ৭৫ বিঘা জমির জন্য লেবু চারা, ৭৫ বিঘা জমিতে চাষের জন্য পেয়ারা চারা দেওয়া হবে কৃষকদের। অনেক চাষি এজন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা এই মাসেই চাষ শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই চারাগুলি রোপণ করার এটাই উপযুক্ত সময়। এই সময় রোপণ করা হলে ভালো ফলন মিলবে।
ইংলিশবাজারের ও পুরাতন মালদহ ব্লকের আম চাষি শিবনাথ ঘোষ ও তাফিজুল শেখ বলেন, এর আগেও আমরা আমের চারা লাগিয়েছি। খুব ভালো ফল দিয়েছিল। এবারও আমরা এ ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী। উদ্যানপালন দপ্তরের তরফে আমের চারা দেওয়ার কথা শুনেছি। আমাদের নতুন অনেক জমি ফাঁকা রয়েছে। সেখানে চাষ করব বলে কিছুদিন আগেই এই ফর্ম উদ্যানপালন অফিসে জমা দিয়েছি। এই মাসেই চারা দেওয়া কথা রয়েছে। এরপর জমিতে চারা রোপণ করা হবে। ওই দপ্তরের পরামর্শ মেনে চলব। পুজোর আগে উদ্যানপালনের দপ্তরের এই উদ্যোগে আমরা দারুণ খুশি।
সম্প্রতি হবিবপুর ব্লকে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করা হয়েছে। জমিতে সেই ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও পুজোর মুখে জেলায় নতুন করে আম, লিচু, পেয়ারা ও লেবু চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসেই নতুন চারাগুলি রোপণ করা হবে।