বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
সংবাদমাধ্যম, বিমানশিল্প এবং বিমায় সরকার যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছে বাজেটে, তার প্রশংসা করেছে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স। তাদের কথায়, একদিকে আয়ত্তের মধ্যে থাকা বাড়ির ক্ষেত্রে সুদে বেশি অঙ্কের আয়কর ছাড়, অন্যদিকে ই-গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া— দু’টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ব্যাঙ্কগুলির মূলধন বাড়ানো এবং নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিগুলির উপর আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর বিষয়টিও প্রশংসাযোগ্য, মনে করছে এই বণিকসভা।
তবে, বাজারে নগদ টাকার সঙ্কট রয়েছে। এই বাজেটে সেই বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায়নি বলেই মনে করছেন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা। তিনি বলেন, জাতীয় আয় নির্ভর করে যেগুলির উপর, সেই বিক্রি, বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের বিষয়ে তেমন দিশা নেই। তাই নগদ বাড়বে কী করে, তা অধরা।
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট বিশাল ঝাঝারিয়ার কথায়, শিল্পের জন্য বেশ কিছু ঘোষণার পাশাপাশি সমাজিক উন্নয়নেও যেভাবে জোর দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে, তা সাধুবাদযোগ্য। তাঁর কথায়, বিমান পরিষেবায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ সহজ হবে। জিএসটি রেজিস্ট্রেশন আছে, এমন ছোট শিল্পের সুদে দু’শতাংশ ছাড় বড় পদক্ষেপ। ব্যাঙ্কগুলিকে ৭০ হাজার কোটি টাকা মূলধন দেওয়ার ঘোষণা বা ব্যাঙ্ক নয়, এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চাঙ্গা করার যে পন্থা নিয়েছে কেন্দ্র, তা অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ। শিক্ষা, কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়নে বেশ কিছু ঘোষণা হয়েছে বাজেটে, যার প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট।
পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে এই বাজেটে যেভাবে জোর দেওয়া হয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স। পাশাপাশি মহিলা ও কৃষকদের রোজগার বাড়ানোর পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছে তারা। চেম্বারের মতামত, কৃষির জন্য পরিকাঠামো তৈরি বা গ্রামীণ এলাকায় পরিস্রুত জল দেওয়ার উদ্যোগ গোটা দেশের পরিস্থিতিকেই ভালো করবে। ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ব্যবসায় ২৫ শতাংশ কর প্রযোজ্য হওয়াও সদর্থক বলে মনে করছে এই বণিক সঙ্ঘ।
ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিল পেমেন্টের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম তৈরি করা বা বছরে দেড় কোটি টাকার নীচে লেনদেন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা দেশের ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স। পাশাপাশি একাধিক সেক্টরে বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়া, ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া বা স্টার্ট আপের বহর বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রশংসা করেছে আইসিসি।