বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বৈঠকের পর শান্তিবাবু বলেন, দূষণ কমাতে গোটা বিশ্বেই এখন বিকল্প উদ্ভাবনী শক্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যেই একদিকে বর্ষার জলের সংরক্ষণ এবং অন্যদিকে সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে দূষণমুক্ত পরিবেশে পানীয় জল সমস্যা দূর করা যায়, তার কৌশল আবিষ্কারের কারণে আন্তর্জাতিক কমিটি গত ২৭ মে আমাকে ভারতের ‘মিশন ইনোভেশন চ্যাম্পিয়ন’ মনোনীত করে। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পদাধিকারী এই বিষয়ে সে দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের ভূমিকা নেন। এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক আপাতত ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দেশের ১০টি রাজ্যে আমার প্রজেক্ট কার্যকর করতে। আমি চাই, বাংলায় প্রথম পাইলট প্রজেক্টটি হোক। এজন্য রাজ্যের কোনও খরচ হবে না। কেবল প্রজেক্টের কাজ বিনা বাধায় শেষ করতে রাজ্যের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চাই। এই সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। উনি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে মন দিয়ে প্রকল্পের বিষয়টি শুনে দ্রুত সম্মতি দেন। কেবল তাই নয়, জল সংরক্ষণ ও পরিবেশ নিয়ে উনি সচেতন বলে দ্রুত এই প্রকল্পের নাম ‘বর্ষাশক্তি’ বলে ঠিকও করে দেন। শীঘ্রই এনিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী একটি প্রশাসনিক বৈঠক করে সব কিছু চূড়ান্ত করবেন।
প্রকল্পটি সম্পর্কে শান্তিবাবু বলেন, কোনও বড় স্কুল বা গ্রামের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বর্ষার জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সৌরশক্তি ব্যবহার করে কোনও ভবনের ছাদ থেকে জমা জল সেই সংরক্ষণের স্থানে নিয়ে আসা যেতে পারে। আবার সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ জলও আনা হবে পাম্পের সাহায্যে। সেই জল পরিস্রুত করার ব্যবস্থাও হবে সৌরশক্তি ব্যবহার করে। মানুষ সেই পরিস্রুত জল খাওয়া বা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে সংশ্লিষ্ট স্কুল বা গ্রামে।