একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
মঙ্গলবার কোটলায় ২২২ তাড়া করে ২০ রানে হারে রাজস্থান। সঞ্জু যখন আউট হন, তখন ২৭ বলে দরকার ৬০। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি রয়্যালস ব্রিগেড। দলের হেড কোচ কুমার সঙ্গাকারা বলেছেন, ‘সঞ্জু আউট হলেও আমাদের জিতে ফেরা উচিত ছিল। তবে খেলায় হার-জিত থাকে। এই মরশুমে আমরা দুর্দান্ত খেলছি। দিল্লির বিরুদ্ধেও দারুণ বোলিং করেছি। মঙ্গলবার অনবদ্য বল করেছে অশ্বিন। কিন্তু বেশ কিছু ভুলের মাশুল দিতে হল আমাদের। দিনের শেষে চাপের মুখে নিজেদের মেলে ধরাই আসল।’
সঞ্জু যেভাবে খেলছিলেন, তখন অবশ্য জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। কিন্তু ৪৬ বলে ৮৬ করে তিনি ফিরতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হোপের যে ক্যাচে আউট হন সঞ্জু, তা নিয়ে অবশ্য চর্চা চলছে। রাজস্থান শিবির মনে করছে, ওই ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি লাইন ছুঁয়েছিল হোপের পা। তা সত্ত্বেও তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন সঞ্জুকে। এই প্রসঙ্গে সঙ্গাকারা বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি রিপ্লে, টিভির অ্যাঙ্গেলের উপর নির্ভর করে। অনেক সময় ছবি দেখে মনে হয় পা স্পর্শ করেছে দড়িকে। তবে ব্যাপারটা তৃতীয় আম্পায়ারের পক্ষেও ধরা কঠিন। এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যতই আলাদা হোক, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতেই হয়।’ দিল্লির সহকারী কোচ প্রভীন আমরে অবশ্য ওই ক্যাচের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন হোপকে।
এদিকে, আইপিএলে সঞ্জুর ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ ম্যাথু হেডেন। ১১ ইনিংসে ৬৭.২৮ গড়ে ৪৭১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৫৪। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন তিনি। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে হেডেন বলেছেন, ‘স্বপ্নের মতো লাগছে সঞ্জুর ব্যাটিং। এই আসরে বারবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করছে। স্পিন ও পেস, দুটোই সামলাচ্ছে নিখুঁত দক্ষতার সঙ্গে। ওর পাওয়ার রয়েছে। টি-২০ ক্রিকেটে যা বড় ব্যাপার। দলের প্রতি ওর দায়বদ্ধতাও নজর কাড়ছে।’ সঞ্জুর ব্যাটিং নিয়ে সঙ্গাকারা বলেছেন, ‘আগে ও মাঝে মাঝে মনসংযোগ হারিয়ে ফেলত। সেই সমস্যা এখন কাটিয়ে উঠেছে।’