উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দিল্লির ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্রুত ৫ উইকেট হারালেও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন পাঞ্জাবকে। কিন্তু ভাগ্য তাঁকে সাথ দেয়নি। জয়ের দোরগোড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর লড়াই। আর তাতেই সামনে চলে আসে ‘শর্ট রান’ বিতর্ক। ১৮.৫ ওভারে দু’রান নেওয়ার সময় মায়াঙ্কের সঙ্গী ব্যাটসম্যান ক্রিস জর্ডনের ব্যাট ক্রিজের বাইরে থাকার কারণে ‘শর্ট রান’ কল করেন লেগ আম্পায়ার নীতিন মেনন। দুইয়ের বদলে এক রান দেন তিনি। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় জর্ডনের ব্যাট ক্রিজ ছুঁয়েছিল। অর্থাৎ রানটি বৈধ ছিল। এরপরেই মেননের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। ফলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। এরপর রাবাডার দুরন্ত বোলিংয়ে লোকেশ রাহুলরা ম্যাচটি হেরে যায়। প্রশ্ন ওঠে ‘শর্ট রান’ কল করার আগে মেনন কেন প্রযুক্তির সাহায্য নিলেন না। সেক্ষেত্রে ম্যাচটা হারত না পাঞ্জাব। তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যেত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। দলের মালকিন প্রীতি জিন্টা ট্যুইট করেছেন, ‘এই শর্ট রানের সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করেছে। অবিলম্বে এই পদ্ধতির বদল দরকার। বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম চালু করার সময় এসেছে। যাতে কোনও দলকে এরকমভাবে ভুগতে না হয়।’ কিংস ইলেভেনের সিইও সতীশ মেনন আবার বলেছেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা ম্যাচ রেফারির কাছে আবেদন করেছি।’
ভুল ‘শর্ট রান’ নিয়ে রসিকতা করেছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগও। প্রাক্তন এই ভারতীয় তারকাটি বলেছেন, ‘পাঞ্জাব বনাম দিল্লির খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরষ্কারটা আম্পায়ার নীতিন মেননকে দেওয়া উচিত ছিল। অন্য কেউ এর দাবিদার হতে পারে না।’ নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস আবার একে ‘বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত’ বলেছেন। আকাশ চোপড়া বলেছেন, ‘আম্পায়ারের ভুলে হারতে হল পাঞ্জাবকে। মাত্র দুই পয়েন্টের জন্য কিংস ইলেভেন যদি প্লে-অফে উঠতে না পারে, তখন তা অত্যন্ত দুঃখজনক হবে। এ ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত।’