উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিন সন্ধ্যায় বিজয়ন আরও বলেন, ‘আমি ব্যারাকপুরে থাকার সময়েই কল্যাণীতে হয়েছিল মোহন বাগান-গোকুলাম ম্যাচ। খেলাটি দেখতে যাওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল। তবে সেদিন কেরল পুলিসের ম্যাচ থাকায় আমি যেতে পারিনি। আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলেও গোকুলামের কর্মকর্তা আর স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। ফুটবলের দিকেই তো মন পড়ে থাকে। তবে এই মুহূর্তে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফুসরত নেই। এবারের পুলিস গেমসে ছিলাম কেরল পুলিসের ম্যানেজার। কাজের প্রচণ্ড চাপ। অবসরের আগে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এরই মধ্যে সময় পেলে টিভি’তে খেলা দেখি।’
নিজে ডার্বির নায়ক হয়েছেন একাধিকবার। চেয়েছিলেন, ছেলেও ফুটবলার হয়ে কলকাতার দুই প্রধানে খেলুক। কিন্তু বিজয়নের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চান তিনি। তাই ছেলেকে ভিডিও অ্যানালিস্টের কোর্স করাচ্ছেন। প্রসঙ্গক্রমে বললেন, ‘এখন আইএসএলে তো বটেই, আই লিগের দলেও ভিডিও অ্যানালিস্ট আছে। তাই ছেলে ভারতের ফুটবল দুনিয়ায় ভিডিও অ্যানালিস্ট হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস। আমার স্বপ্ন, ডার্বিতে কোনও একটি দলের ভিডিও অ্যানালিস্টের ভূমিকায় ওকে দেখা।’
কলকাতায় দুই প্রধানের জার্সিতেই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিজয়নের। তবে সবুজ-মেরুন জার্সি পরেই তিনি বেশি ঝলমল করেছেন। ১৯৯১-৯২ মরশুমে তিনি প্রথম কলকাতায় আসেন। ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছেন ২০০১-২০০২ মরশুমে। ডার্বিতে তাঁর গোলসংখ্যা ৯। মর্যাদার বড় ম্যাচ নিয়ে কেরলের কালো হরিণ বলছিলেন,‘‘অনেক ডার্বিই খেলেছি। তবে জীবনের সেরা ডার্বি ১৯৯৩ সালের আগস্টে শিবদাস ভাদুড়ি ট্রফিতে। ১৯৯১ সালে কেরল থেকে একাই এসেছিলাম। পাপ্পাচানের সঙ্গে মোহন বাগানের কথা অনেকটাই এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত ও এল না। একা থাকায় মন বসাতে পারিনি। ১৯৯৩-৯৪ মরশুমে ফিরে এলাম। সেবার সঙ্গী ছিল শরাফ আলি। সেবার প্রথম টুর্নামেন্ট ছিল শিবদাস ভাদুড়ি ট্রফি। ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচের আগে টুটুদা ডেকে পাঠালেন। সেদিন উনি বলেছিলেন,‘শিবদাস ভাদুড়ি ১৯১১ সালের আইএফএ শিল্ড জয়ী দলের অধিনায়ক। জন্মশতবর্ষে ওঁর নামে ট্রফি। য কোনও মূল্যে জিততেই হবে।’ আমি পাল্টা বলেছিলাম, ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করলে গাড়ি দিতে হবে। আপনারা সল্টলেকের ফ্ল্যাটে আমায় রেখেছেন। ওখান থেকে মোহন বাগান মাঠের দূরত্ব অনেকটাই। সকালে অনুশীলনে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিও পাওয়া যায় না। যাই হোক, ডার্বিতে গোল পেলাম। জিতলাম ২-১ ব্যবধানে। তবে গাড়ির বদলে পেলাম বাইক। যা অধিকাংশ সময়ে চালাত শরাফ আলি। আমি পিছনেই বসতাম। ওই ডার্বি কোনওদিন ভোলার নয়। বিজয়নকে তারকার মর্যাদা দিয়েছিল ওই ম্যাচ। ফাইনালে এফসিআইকে হারিয়ে শিবাদাস ভাদুড়ি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।’’