বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
টিরানা, ১৮ নভেম্বর: আগেই ইউরোর মুলপর্বের টিকিট জোগাড় করেছিল ফ্রান্স। তা সত্ত্বেও গ্রুপ-এইচ’এর শেষ ম্যাচে আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কোনও ভাবনাকে প্রশ্রয় দেননি দিদিয়ের দেশঁ। জাতীয় দলের হয়ে কোচের শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় উপহার দিলেন ফুটবলাররা। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জুলাই ফ্রান্সের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দেশঁ। গত বছর তাঁরই প্রশিক্ষণে রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দল। রবিবার ম্যাচের শেষে আবেগপ্রবণ ফ্রান্সের কোচ বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করা সত্যিই আনন্দের। তবে এর সিংহভাগ কৃতিত্ব ফুটবলারদেরই। ওদের জন্যই আমার কোচিং কেরিয়ার বর্ণময় হয়েছে।’
অপেক্ষাকৃত দুর্বল আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকে আক্রমণের চাপ বজায় রাখে ফ্রান্স। অষ্টম মিনিটেই গ্রিজম্যানের ফ্রি-কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ টোলিসোর (১-০)। এরপর বেন ইয়েডার ও বেঞ্জামিন মেন্ডি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। গোটা ম্যাচে বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন গ্রিজম্যান। ৩১ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি তাঁরই (২-০)। দ্বিতীয়ার্ধে পজেশনাল ফুটবল মেলে ধরে লিড বজায় রাখে ফ্রান্স। এই জয়ের সুবাদে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ-এইচ’এর শীর্ষস্থানে থেকেই ইউরোর মূলপর্বে পৌঁছাল ফ্রান্স। সমসংখ্যক ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে প্রতিযোগিতার পরবর্তী পর্যায়ে উন্নীত হল তুরস্ক।
রবিবার গ্রুপ-এ’র শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড ৪-০ গোলে হারাল কসোভোকে। আগেই মূলপর্ব নিশ্চিত করে ফেলায় এই ম্যাচে প্রথম একাদশে বেশ কিছু রদবদল করেছিলেন কোচ সাউথগেট। তবে তাতে ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ছন্দে কোনও বাধা পড়েনি। ৩২ মিনিটে উইঙ্কসের গোলে লিড নেয় তারা (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের চাপ আরও বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে তাদের শেষ তিনটি গোল আসে ম্যাচের অন্তিম পর্বে। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল অভিজ্ঞ হ্যারি কেনের (২-০)। মিনিট চারেক পরে রহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান মার্কাস র্যাশফোর্ড (৩-০)। সংযোজিত সময়ে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন মাউন্ট (৪-০)। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এদিন গোলের খাতা খুললেন উইঙ্কস ও মাউন্ট। ৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে ইউরোর মূলপর্বে উন্নীত হল ইংল্যান্ড।