পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত আছে, সেব্যাপারেও তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন (রবিবার) সন্ধ্যায় গজনীপুর এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে ছানা দিতে যান দুধ ব্যবসায়ী সনাতন। ওই রাতে চোঁয়া নতুনপাড়া এলাকায় তৃণমূলের বিজয় উৎসব উপলক্ষ্যে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে রাতে বাড়ি ফেরার সময় শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সনাতনবাবু ওই রাতে আরও দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে চারচাকা গাড়িতে দুষ্কৃতীরা ধাওয়া করে এসে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে। বাইক সহ মাটিতে পড়ে যান সকলে। তারপর দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে সনাতনের বুকে ও পেটে গুলি করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে হওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবার দাবি করেছিল যে, বিজেপির লোকজনই সনাতনকে খুন করেছে। অবশেষে অভিযুক্ত তিনজনকে পাকড়াও করেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামেরই এক বাসিন্দার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল সনাতনের। তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়। সে আগে তৃণমূল করলেও কিছুটা বিজেপির দিকে ঝুঁকে ছিলেন বলে দাবি করেন মৃতের পরিজনরা। ১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেওয়ায় পুলিস কারও নাগাল পাচ্ছিল না। অবশেষে তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ায় বাকিরাও ধরা পড়বে বলেই আশাবাদী মৃতের পরিবার।