পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
ভূমিদপ্তরে কাজে আসা অনেক সাধারণ মানুষকে অকারণে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ। এধরনের অভিযোগ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছেছে। দপ্তরের অফিসে দালালরাজ নতুন নয়। অভিযোগ, তাদের মাধ্যমে অফিসে এলে সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ হয়ে যায়। কিন্তু, সাধারণ মানুষ নিজে অফিসে গেলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক ভূমিদপ্তরের অফিসারের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত চলছে। একজন রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ভিজিল্যান্স বিভাগ।
সকালে অফিস খোলার পর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার সবার আগে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন। সপ্তাহে চারদিন এটা করতে হবে। কারও জমির রেকর্ড ব্লক ভূমি অফিসে থাকলে অযথা তাঁকে ঘোরানো যাবে না। হেল্প ডেস্কে আসা মানুষজনকে আবেদন লেখার কাজে গাইড করতে হবে। এছাড়াও মিউটেশন এবং কনভারশনের অনেক আবেদন পড়ে রয়েছে। সেইসব আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলায় বিভিন্ন জায়গায় নদী থেকে বালি চুরি হচ্ছে। সেই চুরি রুখতে ব্লক ভূমি অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএম। এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিজেদের ফোন নম্বর দেওয়ার কথা বলেছেন। তাতে বালি চুরি হলে দ্রুত খবর পাওয়া যাবে।
তমলুক পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক পার্থসারথি মান্না দীর্ঘদিন ধরে জমি সমস্যায় নাকাল হচ্ছেন। তমলুক ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। ওই চিকিৎসক বলেন, জেলাশাসকের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ভালো। ভূমিদপ্তরে প্রচুর অনিয়ম হয়। টাকা না দিলে অনেকে ফাইল পড়ে থাকে। তাই এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং যথার্থ। জেলাশাসক বলেন, সব ব্লক ভূমি অফিসারকে সপ্তাহে চারদিন এক থেকে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে হবে। প্রতিটি অফিসে হেল্প ডেস্ক চালু করতে হবে। সাধারণ মানুষকে আবেদন করার জন্য গাইড করতে হবে।