পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হরিপুরে সমুদ্রতীরে যাওয়ার পথে উত্তরদিকে শ্যামরাইবাড়-জালপাই গ্রাম। গ্রামে বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫৪০মিটার রাস্তা রয়েছে, যেটা এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন। এর আগে ১০০মিটার রাস্তা গ্রামবাসীরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে ঢালাই করেছেন। বাকি ৪৪০মিটার রাস্তা তৈরি নিয়েই ঝামেলা। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, এর আগে বনদপ্তরের অনুমতিতে ১০০মিটার রাস্তা ঢালাই হয়েছে। বাকি রাস্তাটি ঢালাই করার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তাঁদের আরও দাবি, বাকি অংশ ঢালাইয়ের জন্য যাতে অনুমতি দেওয়া হয়, সেব্যাপারে মৎস্যদপ্তরের আধিকারিকরা বনদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বনদপ্তর রাজিও হয়। সেইমতো মৎস্যদপ্তরের তরফে রাস্তা নির্মাণের জন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়। তারপর রাস্তা তৈরির জন্য বালি, সিমেন্ট সহ অন্যান্য জিনিসপত্র আসে। শনিবার ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলে বনদপ্তরের লোকজন বাদ সাধেন। তারপরই গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সৌম্যসুন্দর গিরি বলেন, গ্রামবাসীদের স্বার্থে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। এর আগে যখন রাস্তা ঢালাই করার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি চলছিল, তখন বনদপ্তর অবগত ছিল। তখন তারা আপত্তি জানাল না কেন? এখন কাজ শুরুর মুখে কেন বাধা দেওয়া হবে? তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। মৎস্যজীবী নেতা আমিন সোহেল বলেন, এই বাধাদানের পিছনে কেউ কলকাঠি নেড়েছে বলে মনে করছি। আমরা গ্রামবাসীদের পাশে রয়েছি। সমস্যার সমাধানে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব।
এবিষয়ে বনদপ্তরের কাঁথি বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মনীষা শ বলেন, যেখানে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে, সেই জায়গাটি বনদপ্তরের। পুরোপুরি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। তাই দপ্তরের কর্মীরা বাধা দেন। তাঁদের আটকে রাখা হয়। এতদিন আমরা গ্রামবাসীদের রাস্তাটি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলাম। বনদপ্তরের জায়গায় থাকা রাস্তা মোরাম থাকতে পারে। কিন্তু, এভাবে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা যায় না। তাঁর দাবি, এর আগে যখন ১০০মিটার রাস্তা তৈরি হয়েছিল, তখন বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। সমগ্র বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আজ, রবিবার আমরা এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু খতিয়ে দেখব। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।