সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে মহেশ্বর সোরেনকে(৭৫) খুন করা হয়। মহেশ্বরবাবু তাঁর মেজো ছেলে শ্রীকান্ত ও পুত্রবধূ নমিতার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। কর্মসূত্রে বড় ছেলে জয়দেব সোরেন ও ছোট ছেলে সঞ্জয় সোরেন বাইরে থাকেন। ২০২১ সালের ১৫ মে খুড়তুতো ভাই অনিল সোরেনের কাছ থেকে সঞ্জয় জানতে পারেন, তাঁর বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওইদিন সঞ্জয় দাদা জয়দেবের সঙ্গে বাড়ি আসেন। মহেশ্বরবাবু যে ঘরে থাকতেন, সেখানে রক্তের দাগ গোবর দিয়ে মোছা হয়েছে বলে তাঁদের নজরে আসে। এনিয়ে শ্রীকান্তর কাছে জানতে চাইলে সে খুনের কথা স্বীকার করে। শ্রীকান্ত জানায়, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সে তার বাবাকে খুন করেছে। দেহ মকরঝাঁপ জঙ্গলের কাছে দ্বারকেশ্বর নদের চরে পুঁতে দিয়েছে। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস বালি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে।
এরপর সঞ্জয় কাশীপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস শ্রীকান্ত ও তার স্ত্রী নমিতাকে গ্রেপ্তার করে। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিন তাদের সাজা ঘোষণা হয়।
সরকারি আইনজীবী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খুনের দায়ে বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
এছাড়াও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দু’টি সাজাই একসঙ্গে চলবে।
সাঁওতালি মাধ্যমের কলেজের দাবিতে স্মারকলিপি: বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতাল শিক্ষক সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা কমিটির তরফে রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও কোনও কলেজ নেই।
এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে ১৬ জন ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে। তারা কোথায় ভর্তি হবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। তাই অবিলম্বে রঘুনাথপুর এলাকায় সাঁওতালি মাধ্যমের তিলকা মুর্মু কলেজ নির্মাণ করার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক শত্রুঘ্ন মুর্মু বলেন, আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।