নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: ফেসবুক লাইভে এসে ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন বীরভূম জেলা পুলিসের এক মহিলা এএসআই। তাঁকে বারবার বিভিন্ন জেলায় ভোটের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভাগীয় চাপের কারণেই তাঁর এই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলে ফেসবুক লাইভে এসে জানান তিনি। এই ঘটনায় আড়োলন পড়ে যায় বীরভূম পুলিস মহলে। যদিও ওই এএসআই সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিসের ডিইবি বিভাগে কর্মরত আছেন ছবিলা খাতুন। তিনি এমনিতেই খুবই পরিচিত মুখ। নিজের উদ্যোগে সিউড়ির কড়িধ্যার শালবনিতে ‘ছবির স্বপ্নপুরী’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম চালান তিনি। নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়েই তৈরি সেই বৃদ্ধাশ্রম। তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা জেলায়। এহেন লড়াকু ছবিলার আত্মহত্যা করার ভাবনা শুনে অনেকেই  স্তম্ভিত।  জানা গিয়েছে, ছবিলা বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসে ভোটের ডিউটি করতে গিয়েছেন। সেখানেই বুধবার দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তাঁর অভিযোগ, তাঁকে পরপর বিভিন্ন জেলায় ভোটের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মা ও দুই মেয়ের কথা বললেও পুলিস বিভাগ পাশে দাঁড়ায়নি। এছাড়াও তিনি তাঁর উচ্চ অফিসারদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর সব অভিযোগ তোলেন। ‘বিশেষ সুবিধার’ জন্য অনেককেই ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। আর তারপর তিনি হাতে ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদিও সেই ভিডিওতে দেখা যায়, তৎক্ষণাৎ এক মহিলা এসে তাঁকে উদ্ধার করছেন। এই ঘটনায় পুলিস বিভাগও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে এদিন সকালে তাঁর পরিবর্ত হিসাবে অন্য একজন অফিসার সিউড়ি থেকে রওনা দিয়েছিল বলে দাবি পুলিস আধিকারিকদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন ছবিলা জনসমক্ষে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই নিয়ে পুলিসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক অফিসার বলেন, ভোটের ডিউটি নিয়মমাফিক সবাইকে করতে হচ্ছে। যদি কিছু অভিযোগ থাকে, তা বিভাগের অন্দরে জানাতে হয়। নাহলে পুলিসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। মিথ্যা অভিযোগ উঠলে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ হতে পারে যে কারও বিরুদ্ধে। তবে উনি এখন সুস্থ আছেন বলে জেনেছি।