একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রচারে সুজাতাও বলছেন, ‘বিষ্ণুপুরের ইতিহাস ও ধর্ম-সংস্কৃতি অনেক প্রাচীন। অথচ, ১০ বছর সাংসদ থাকা সত্বেও বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকার জন্য কিছুই করেননি। আমি জেতার পর প্রথমেই আমি বিষ্ণুপুরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি বানাতে উদ্যোগী হব। বিষ্ণুপুর শহরের উন্নয়ন হলে তাকে কেন্দ্র করে চারপাশের গ্রামের মানুষও উপকৃত হবেন। কর্মসংস্থান বাড়বে। শুধু তাই নয়, সোনামুখীর বাইপাশ, বড়জোড়ায় উড়ালপুল, ওন্দায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাব। এছাড়াও বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায় অনেক কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে।’
সৌমিত্র খাঁ বলছিলেন, ‘বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ সিটির মর্যাদা দেওয়ার জন্য আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। তারা আশা দেখিয়েছে। আগামীদিনে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে আরও সদর্থক পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও দ্বারকেশ্বরের উপর একাধিক সেতু নির্মান করব। বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের যে দু’হাজার একর জমি রয়েছে, সেখানে প্রকল্প তৈরি করব। ইতিমধ্যে সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর পর্যটন কেন্দ্র। মল্লরাজাদের তৈরি টেরাকোটা মন্দির আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। গোটা বিশ্বে তার সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে। অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়া কর্তৃপক্ষের অধীনে মন্দিরগুলি রয়েছে। ভিনদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বৈষ্ণবদের অন্যতম পীঠস্থানও এই বিষ্ণুপুর। বৈষ্ণব আচার্য শ্রীনিবাসের সাধনক্ষেত্র বলেও বিষ্ণুপুর সমধিক পরিচিত। তাই বহু বছর ধরেই বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ সিটির তকমা দেওয়ার জন্য নাগরিকরা সরব হয়েছেন। কিন্তু যাদের এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হওয়ার কথা সেই জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কথা বার বার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবুও ভোট এলেই হেরিটেজ চর্চা নতুন করে জেগে ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শাসক ও বিরোধী দুই দলের প্রার্থীরা এবারও ভোটের প্রচারে বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ তকমা আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে আওয়াজ তোলা জনতা ওই প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ফাইল চিত্র