বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
ডিআই বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি কাটোয়ার এআইকে বিষয়টি দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
জানা গিয়েছে, এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে করোনার প্রকোপ ঠেকাতে লকডাউন চালু করে সরকার। সেখানে দেশের সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে। এমনকী টিউশনি বন্ধ রয়েছে। এই কঠিন সময়ে অনেক স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকরা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ, ই-মেল বা ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করাচ্ছেন, নোটস দিচ্ছেন। এই সুযোগে কাটোয়া শহরের কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের এক শিক্ষক বিশ্বজিৎ নস্কর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছাত্র-ছাত্রীদের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন চাইলেন। এমনকী কোন কোন ছাত্রের বেতন বাকি রয়েছে তার তালিকা দিয়ে দিয়েছেন। হোয়াটস অ্যাপের এই মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই শহরজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাইভেট টিউটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কাটোয়ার মহকুমা শাসকের কাছে ওই শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, যেখানে সরকারের নির্দেশ আছে যে কোনও স্কুল শিক্ষক টাকার বিনিময়ে টিউশনি করতে পারবেন না। সেখানে বিশ্বজিৎবাবু এরকম ফতোয়া জারি করায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব পড়তে পারে। এটা বেআইনি কাজ।
বিশ্বজিৎবাবু হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন, গ্রুপের প্রত্যেককে বলছি এপ্রিল-মে মাসের বেতন জুনের প্রথম সপ্তাহে পৌঁছে দিতে। তারপরেই নতুন নোটস পাঠানো ও অ্যাপের মাধ্যমে পড়ানো শুরু করব। বেতন দিতে আসার সময় বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা। সোম থেকে রবি বিকেল ৪টে থেকে যেকোনও সময় এলেই হবে। একই সঙ্গে একাদশ শ্রেণীর বেতন যার যেমন বাকি রয়ে গিয়েছে, সেটাও জানাচ্ছি। বেতন দিতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের নামের তালিকাও গ্রুপে দিয়ে দেন।
যদিও বিশ্বজিৎবাবু বলেন, আমার ধারণা এটা ষড়যন্ত্র। আগের কোনও পোস্টকে প্রকাশ্যে আনা হতে পারে। একজন অভিভাবককে ডেকে নিয়ে এসে প্রমাণ করুক যে আমি টাকা নিয়েছিলাম। আমি টাকা নিয়ে পড়াই না। আমি পোস্ট করিনি। এটা ঠিক নয়।
এদিকে এক অভিভাবক সঞ্জয় সাহা বলেন, লকডাউনের সময় না পড়িয়ে টাকা নেওয়া অত্যন্ত অন্যায় কাজ। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই শিক্ষককে টাকা চাইতে দেখেছি। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও জানিয়েছি।
কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক কমলকান্তি দাস বলেন, এআই আমাকে মেল করে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন। আমরা ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চাইব। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আমি দেখেছি। কিন্তু সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য তা তদন্ত করে দেখা হবে। তারপরে স্কুলের পরিচালন সমিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কাটোয়ার মহকুমা শাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।