অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিনজন যুবক দিন সাতেক আগে মুম্বই থেকে কালনার বাড়িতে আসেন। তাঁদের কালনার একটি কোয়ারেন্টইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। দিন তিনেক আগে তাঁদের সোয়াব টেস্ট হয়। মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করেই তাঁদের মধ্যে দু’জন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। রাতেই তাঁদের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাকি একজনের কোয়ারেন্টইন সেন্টারে থাকাকালীন রিপোর্ট পজিটিভ হয়। দু’জনের বাড়ি সাতগাছি পঞ্চায়েত এলাকার শাসপুরে ও বাকি একজনের বাড়ি কালনার জাপটপাড়া বলে রিপোর্টে উল্লেখ থাকলেও বর্তমান ঠিকানা কালনা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটমিত্রপাড়ায়। তিনজনই মুম্বইয়ে জুয়েলারির কাজ করতেন। বুধবার সকালে রিপোর্টের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস তিনজনকে দুর্গাপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠায়। আক্রান্তদের বাড়ির আশেপাশে ও পাড়ার রাস্তা ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। পুলিস সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
শাসপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরেন। সকালে তিনি তাঁদেরই চায়ের দোকানে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করেন বলে প্রতিবেশীদের দাবি। এরপরই তিনি জানতে পারেন তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
শহরের ছোটমিত্রপাড়ার যুবকও মঙ্গলবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। তিনিও সকালে রিপোর্টের কথা জানতে পারেন। তবে, তিনজনের শরীরে তেমন কোনও উপসর্গ ছিল না বলে পরিবারের লোকেজন জানান।
এদিকে, কোয়ারেন্টইন সেন্টারে ১৪দিন না কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এসে আক্রান্তরা পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীদের বিপদে ফেলেছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এতে এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাটা খুবই জরুরি। প্রশাসনের বিষয়টি দেখা উচিত। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কালনার সাতগাছি পঞ্চায়েতের শাসপুর এলাকার সদস্য তারক সরকার বলেন, আমরা সকালে বিষয়টি জানতে পারি। পুলিস এসে আক্রান্তদের নিয়ে গিয়েছে। এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
কালনা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, আপাতত আক্রান্তর বাড়ির আশেপাশের রাস্তা ব্যারিকেড করা হয়েছে। এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে।