অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
হাসপাতালের চিপ অপারেটিং অফিসার চিকিৎসক বি চৌধুরী বলেন, আমাদের অত্যন্ত খুশির দিন। একসঙ্গে এতজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তারমধ্যে ন’মাসের শিশু, পাঁচ বছরের শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছেন।
ডেপুটি সিএমওএইচ কেকা মুখোপাধ্যায় বলেন, সাম্প্রতিককালে করোনা আক্রান্ত ১০জনই এদিন ছাড়া পেয়েছেন। এটা জেলার পক্ষে সুখবর।
ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পরই পশ্চিম বর্ধমান জেলার একের পর এক জায়গায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রামের ন’মাসের শিশু, জামুড়িয়া এলাকার পাঁচ বছরের শিশুকন্যা, আসানসোল জেলা হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের কর্মচারী সবাই করোনা আক্রান্ত হন। এর পাশাপাশি রানিগঞ্জ ব্লকের ওল্ড মাইনাস এলাকার একই পরিবারের তিনজন, দুর্গাপুরের দুই ভিন রাজ্য ফেরত যুবক, কুলটির ভিন রাজ্য ফেরত যুবকের দেহেও এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। যার জেরে দুর্গাপুর সহ জেলাজুড়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার বিভিন্ন সময়ে তাঁদের দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা সিল করে প্রশাসন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এনিয়ে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন এলাকায় ভিন রাজ্য থেকে আসা বাসিন্দাদের প্রতি ক্ষোভ জন্মাতে থাকে। এমনকী জামুড়িয়া ব্লকের এক করোনা আক্রান্ত রোগী দুর্গাপুর করোনা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে দু’দিনেই উদ্বেগ কেটেছে শহরে। সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মঙ্গলবার নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় বুধবার তাঁদের করোনা হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। রানিগঞ্জের জেকে নগর এলাকার ওল্ড মাইনাসের বাসিন্দা একই পরিবারের তিনজন বাড়ি ফিরলে তাঁদের পুষ্পস্তবক দিকে স্বাগত জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতা পঙ্কজ কুমার যাদব, পঞ্চায়েত সদস্য উপেন্দ্র পাশোয়ান। অন্য জায়গায়তেও সবাই সুস্থভাবে বাড়ি ফেরেন।
তবে এদিন করোনা আক্রান্ত রোগীরা বাড়ি ফেরার পর বিশৃঙ্খলা ছড়ায় দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রামে। গ্রামের ন’মাসের শিশুকন্যা করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে এলে এলাকাবাসী খুশি হওয়ার পরিবর্তে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁদের এলাকার করোনা আক্রান্তের খবর কেন প্রচার করা হয়েছে, এনিয়ে কয়েক হাজার মানুষ এলাকায় জমায়েত হয়ে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সংবাদ মাধ্যমের ওপর তাঁরা চড়াও হন। এমনকী স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কর্মী রাজেশ সেনগুপ্ত খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাঁকে হেনস্তা করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বাইকও। পরে এসিপি বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, করোনা নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে কিছুটা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন ওই গ্রামে কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী নেই।