অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুরুলিয়ার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক পল্লব পাল বুধবার সকালে হোয়াটস অ্যাপে জানান, রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার সাঁকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্র থেকে প্রথমে লরি এবং পরে হেঁটে ১৯ মে পুরুলিয়া এসে পৌঁছন। ওইদিনই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই তিনি এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনেই রাখা হয়েছে। তবে তাঁদের কারও করোনা উপসর্গ দেখা যায়নি। আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে পুরুলিয়ার জন্য নির্দিষ্ট দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও বলরামপুরের এক বাসিন্দাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি চিকিৎসা করাতে গত ২৩ মার্চ ঝাড়খণ্ডের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর রিপোর্টও করোনা পজিটিভ এসেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজনদের সেখানেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর-১ ব্লকের বাঘাডাবর প্রাথমিক স্কুল ক্যাম্পাসকে ‘এ’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৮জুন পর্যন্ত ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাঘাডাবর উপরপাড়াকে ‘বি’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আদ্রা থানা এলাকার ওই গ্রামে গিয়ে পুলিস কন্টেইনমেন্ট জোনের ব্যানার লাগিয়ে দেয়। বাঁশের ব্যারিকেডও করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমতি ছাড়া ওই গ্রামে যাওয়া আসাও নিষিদ্ধ করেছে পুলিস।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন গ্রিন জোনে থাকায় পুরুলিয়া জেলার প্রায় সর্বত্র লকডাউনের বিধি মেনেই জনজীবন অনেকখানিক স্বাভাবিকের দিকে ফিরছিল। তারই মধ্যে রঘুনাথপুর ও বলরামপুরের আক্রান্তের খবর চাউর হতেই গোটা জেলাজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।