উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এব্যাপারে নইমূলকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। তবে সন্দীপবাবু বলেন, ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশে’র জন্যই আমি ও রাঙাদা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এদিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে এসে আমরা যোগ দিয়েছি। মুকুল রায়ের নির্দেশ মতো আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে খানাকুলে তৃণমূলের বাকি পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিজেপিতে যোগদান করানো হবে। বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশমতো এখানে একসঙ্গে দলের কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গত, খানাকুলে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নইমুল হক ওরফে রাঙা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি কার্যত একাই খানাকুলের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। ওই ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনেও তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। পরে নিজে খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব পান। অন্যদিকে, কিশোরপুরের সন্দীপবাবুও পরপর দু’বার পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছেন। খানাকুলজুড়ে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগও ছিল।
তা সত্ত্বেও খানাকুলে লোকসভা ভোটে তৃণমূল বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খানাকুলের ওই এলাকা জোড়াফুলের খাসতালুক বলেও পরিচিত। এমনকী, ভোট গণনার দিন সকাল থেকে রাঙাকে নেতাজি কলেজে দেখা যায়। আরামবাগ কেন্দ্রের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারকে জয়ী ঘোষণার পর রাঙাই সেখানে স্লোগান দেন। সেই রাঙা এদিন হঠাৎ করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মহকুমায় শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। দলের একাংশের মতে, ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের অনেকেই মুকুল রায় সহ বিজেপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু, এদিন হঠাৎ খানাকুল থেকে তাঁদের বিজেপিতে যোগদান প্রত্যেককেই ভাবিয়েছে।
খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা নইমুলের সঙ্গে খানাকুল-২ ব্লকের যুব নেতা মুন্সি নজবুল করিমের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। নজবুল বলেন, অনেকদিন ধরেই দলের অন্দরে বলেছি, ওঁরা বিজেপিতে যাবেন। ভোটেও ওঁরা সাবোতাজ করেছেন। এদিন প্রমাণিত হয়েছে, আমি ঠিক কথাই বলেছি। তবে, ওঁরা তৃণমূল থেকে চলে যাওয়ায় খানাকুলের মানুষ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। এতে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।
তৃণমূলের আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের নেতা তথা দলের আহ্বায়ক দিলীপ যাদব বলেন, ওই দুই নেতার বিজেপিতে যোগদানের ফলে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে যাঁরা দল করছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।